Irrfan khan: স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার, দক্ষতা থাকলেও ৩০০ টাকার জন্য ইরফান’কে ছাড়তে হয়েছিল সে পথ

অর্থাভাবে মধ্যবিত্তের কত স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। জীবন থেকে হারিয়ে যায় আশা আকাঙ্ক্ষা ভালো লাগা। তবে আপনারা জানলে আশ্চর্য হবেন, বাস ভাড়ার টাকা না থাকায় বলিউডে ইরফান খানকেও বলি দিতে হয়েছিল তার স্বপ্ন। হ্যাঁ, বলিউডের অতুলনীয় অভিনেতা ইরফান খান তাকেও সরে আসতে হয়েছিল স্বপ্নের জগত থেকে। তিনি হয়তো এই পৃথিবীতে নেই কিন্তু তার অভিনয় করা স্মরণীয় চরিত্র কেউ ভুলতে পারে না। বলিউড থেকে হলিউড পর্যন্ত সিনেমার পর্দায় নিজের অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন এই অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান অভিনেতা। তিনি অভিনেতা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করেননি কোনদিন,ইরফান সবসময় একজন ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। আসলে, তিনি এমএস ধোনি এবং রাফায়েল নাদালের একজন বড় ভক্ত ছিলেন। তিনি নিজেও খেলাকেই ক্যারিয়ারে পরিণত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মাত্র ৩০০ টাকা না থাকায় তার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়। 
img 20220829 120103j
২০১৪ সালে একটি সাক্ষাৎকারে ইরফান জানিয়েছিলেন, তিনি সিকে নাইডু টুর্নামেন্টের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু অর্থাভাবে তিনি লক্ষ্যপূরণে সম্ভব হয়নি তাঁর । আরও এক সাক্ষাৎকারে ইরফান বলেছিলেন যে তিনি ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন,”জয়পুরে আমি একজন অলরাউন্ডার ও আমার দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় ছিলাম। আমি ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলাম। আমি জানতে পেরেছিলাম যে আমি সিকে নাইডু টুর্নামেন্টের জন্য নির্বাচিত হয়েছি, তখন আমার অর্থের প্রয়োজন ছিল কিন্তু আমি মোট ২০০ টাকা জমা করতে পারিনি, সেদিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি ক্রিকেটের চাহিদার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না।”

ইরফান বলেছিলেন যে তিনি একজন অলরাউন্ডার ছিলেন কিন্তু তিনি ব্যাটিং বেশি পছন্দ করতেন, আর তার অধিনায়ক তাকে বোলার হিসাবে দেখতে পছন্দ করতেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি একজন অলরাউন্ডার ছিলাম,আমি ব্যাটিং পছন্দ করতাম। আমার অধিনায়ক আমার বোলিং পছন্দ করতেন, তাই তিনি আমাকে দিয়ে আরও বেশি করে বল করাতেন। জানি না কেন তিনি ভেবেছিলেন আমি আরও ভালো বোলার হতে পারব। তিনি আমাকে সবসময় বলতেন, ‘ভালো বল ছুঁড়ো’, আর আমি ছুড়ে মারতাম আর কোনোভাবে দু-একটা উইকেট নিতাম।”
img 20220829 115954

ইরফান তার খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত হননি কারণ তিনি বুঝেছিলেন ক্রিকেটের বহুমূল্য খরচ তার সাধ্যের বাইরে । পরে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় ভর্তির জন্য তার টাকার প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ে সেই টাকার ব্যবস্থা করেছিলেন বোন। তিনি বলেন, “সে সময় আমার মোট ৬০০ টাকার প্রয়োজন ছিল। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার জন্য আমার ৩০০ টাকার দরকার ছিল, যেটা দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন ছিল। আমার বোন অবশেষে আমার জন্য টাকার ব্যবস্থা করে,তখন আমি অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছিলাম।” তবে তিনি ক্রিকেট দুনিয়ায় গেলে হয়তো শচীন-সৌরভের তালিকায় আরও একটি নাম জুড়ত কিন্তু অভিনয় জগতে একটা বড়ো শূন্যস্থান থেকে যেত।




Back to top button