Kshama Bindu: ভালবাসা তাঁর একার! বিয়ে সেরে একা সমুদ্র সৈকতে একাই ‛সোলোগ্যামি’ ক্ষমার

“নিজেকে ভালোবাসো তুমি এবার!” শুধু ভালোবাসা নয়, নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ক্ষমা। গুজরাট নিবাসী ক্ষমা বিন্দু, ভারতের প্রথম মহিলা যিনি নিজগামিতার পথ বেছেছেন। ‘সোলোগ্যামি’ শব্দটিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এই ভারতবর্ষে। কনের সাজে সেজে বিয়ের আসরে বসেছিলেন কন্যা। নিজের কপালেই দিয়েছিলেন সিঁদুর। সব আচার অনুষ্ঠান পালন করেছিলেন নিজেই। কিন্তু মধুচন্দ্রিমা! হানিমুন কী একাই যাবেন ক্ষমা?
হ্যাঁ। ক্ষমা নিজেই যাচ্ছেন মধুচন্দ্রিমায়। প্রয়োজন নেই কোনো সঙ্গীর। নিজের ২৫ তম জন্মদিনে আগামী ১০ই আগস্ট যাবেন হানিমুনে। কোথায় ডেস্টিনেশন? গোয়া। গোয়ার আরাম্বল সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরে ঘুরবেন, এমনটাই সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন ক্ষমা। ক্ষমার বিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এবার মধুচন্দ্রিমার কথা শুনে কপালে চোখ উঠেছে অনেকেরই। সবার মতে, মধুচন্দ্রিমায় যান নব দম্পতিরা কিন্তু একা একা কী আর মধুচন্দ্রিমা হয়! ক্ষমার মতে বিয়ে একা হলে, হানিমুনও হতে পারে। নিজের আনন্দ উপভোগ করাটাই আসল কথা। যত রকম ভাবে নিজেকে তুষ্ট করা যায় সব করবেন তিনি। কোনও আক্ষেপও নেই , অভাববোধও নেই। তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণা।
বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন ক্ষমা। পাশাপাশি করছেন মডেলিং। তারপরই নিয়েছেন নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। তবে নিজেকে বিয়ে করার পথ খুব একটা সহজ ছিল না। পরিবার মেনে নিলেও, বেঁকে বসেন পাড়ার লোক। সমাজের নিয়ম কানুন ভাঙবে মেয়ে, বাধ সাধেন গোটা সমাজ। বিজেপ-নেত্রী সুনীতা শুক্ল সমালোচনা করেন এই বিয়ের। হিন্দু ধর্মের বিরোধী বিবাহ বলে তিনি তোপ দাগেন। এই ধরনের বিয়ে চালু করলে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা খুব প্রবল বেশি বলে তিনি দাবি করেন। তবে কারোর পরোয়া করেননি ক্ষমা, নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে ৮ ই জুন বিয়ে সারেন। বিয়ের পরেও কমেনি ঝঞ্ঝাট। বাড়ি বদল করতে বাধ্য হয়েছেন ক্ষমা। পরিবেশ পরিস্থিতি উত্যক্ত করে তুলেছিলেন মানুষ জন। সংবাদ মাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতেন। তবে এখন নিজেকে নিয়েই ভালো আছেন ক্ষমা।