Mafin chakraborty: টলিপাড়া থেকে যেন মুছে গিয়েছে তাঁর নাম! কেমন আছে ‘টাপুর-টুপুর’-এর পায়েল?

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: সালটা ২০০৫ টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হল এক নতুন পথ চলা। এক সময়ে পর পর সুপারহিট সিরিয়াল গুলিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বলতে গেলে একেবারে প্রথম সারির চ্যানেল গুলোর অভিনেত্রী ছিলেন মাফিন চক্রবর্তী( Mafin chakraborty )। এক সময়ের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘টাপুর টুপুর’, আঁচল, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘পটল কুমার গানওয়ালা’, ‘কিরণমালা’-তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বেশ দীর্ঘ সময় তাঁকে প্রথম সারির চ্যানেল গুলোতে দেখা যায় না। তবে কী তিনি অভিনয় পর্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন? চলুন জেনে নিন, এ বিষয়ে তাঁর কী বক্তব্য।
তাঁর কথায়, “আমাকে মাঝেমধ্যেই তিন-চার মাসের জন্য বিদেশে চলে যেতে হয়। কারণ আমার স্বামী সেখানে থাকেন। তাই একটানা কাজ করা হয় না।” তিনি আরও বলেন, মাস দু’য়েক আগেই কালার্স বাংলার ‘বসন্ত বিলাপ’-এর শ্যুট শেষ করেছেন। আপাতত ফের মনের মতো চরিত্র পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি(Mafin Chakraborty )। কাজ নিয়ে তিনি আগাগোড়াই খুঁতখুঁতে। অভিনেত্রী বলেন, ‘ইদানীং দেখি অনেকেই মাত্র ২৭-২৮ বছর বয়সে নায়ক-নায়িকার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। বিষয়টি মহিলাদের ক্ষেত্রেই নজরে পড়ে বেশি। ছেলেদের ক্ষেত্রে কিন্তু সচরাচর এমন হয় না।’
অর্থাৎ তাঁর কথায় স্পষ্ট যে কম বয়সে মায়ের চরিত্রে অভিনয়ে তিনি আগ্ৰহী নন। এ প্রসঙ্গে মফিন( Mafin Chakraborty ) জানিয়েছেন,”নায়কের মাসির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু লুক টেস্টে দেখা গেল আমাকে সেই চরিত্রে মানাচ্ছে না। হয় তো আমার চেহারার জন্যই বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি।” বর্তমানে প্রথম সারির চ্যানেল গুলোতে অভিনয় না করায় তাঁকে দর্শক কম দেখতে পাচ্ছেন। তবে তিনি তাঁর পছন্দের জগতেই নিজের পছন্দ মতো কাজে ব্যস্ত আছেন।
সূত্রের খবর,অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের প্রশিক্ষণ দেন মাফিন। তাঁর নিজস্ব একটি নাচের স্কুলও রয়েছে। তাই পর্দায় তাঁকে কতটা দেখা গেল, তা নিয়ে তিনি বিশেষ বিচলিত নন। মাফিনের কথায়,(Mafin Chakraborty ) “অভিনয়ের বাইরেও আমার একটা জগৎ আছে। আর সেটা নিয়ে আমি খুবই খুশি।” ইদানিং বেশ কিছু অভিনেত্রী তথা মডেলের অকাল মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,”খুব কম সময়ে অনেক কিছু পেয়ে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এতে কারও দোষ নেই। একটা ধারাবাহিক করেই এখন অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়। তখন নতুনরাও বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপর হাতে কাজ না থাকলে সেই ঝাঁ চকচকে জীবন তাঁরা ধরে রাখতে পারেন না। তখনই অবসাদ গ্রাস করে। অনেক ক্ষেত্রেই এ রকম হতে দেখা গিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন ইদানিং ইন্ডাস্ট্রিতে ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারস কার কত তা দেখে কাজ দেওয়া হয়। তিনি এই প্রক্রিয়ায় নিজেকে জড়খতে চান না। তাঁদের সময় অভিনয়কেই বেশি অগ্ৰাধিকার দেওয়া হত,এখন তা হয় না হলেও বা খুবই কম। মাফিন( Mafin chakraborty ) যদিও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন তবে তা শুধুমাত্র তাঁর ভালোলাগার কারনে।