Mithai: নীল রঙে মিশে গেছে লাল! বিবাহবার্ষিকীর আমেজে রোম্যান্সে ভরে উঠেছে ‛সিধাই’ জুটি

সমস্ত বিপদ কেটে গিয়ে, বিগত দু’দিন ধরে সিড-মিঠাইয়ের প্রেমের রসায়নে মজে আছে সারা বাংলা। একের পর এক চমক লেগেই আছে টিভি পর্দা খুললেই, এখন শুধু একটাই লক্ষ্য মিঠাই-সিডের জমজমাট বিবাহ বার্ষিকীতে চোখ রাখা। একেবারে ‘ড্রিম হাজবেন্ড’- এর মতো বিবাহ বার্ষিকীর পরিকল্পনা করেছে মিঠাইয়ের উচ্ছে বাবু। স্ত্রীকে চমকে দিয়েছে সিদ্ধার্থ।করেছ বেলুন রঙিন ফুল ও কারুকাজ দিয়ে ‘মনোহরা’কে সাজিয়ে তুলেছে সে। সকলকে সিনেমা আর আশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিজের হাতে চোখ বন্ধ করেই স্ত্রীকে শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে।আংটি দিয়ে মিলিয়ে দিয়েছে দুই হৃদয়ের বন্ধন। গিটার বাজিয়ে ‘কেসারিয়া’র সুরে মিঠাইয়ের প্রতি ভালোবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে।
মিঠাইও পিছিয়ে নেই। উচ্ছেবাবুর আবদারে আটপৌরে সাজ ফেলে দিয়ে কালো শিফন শাড়ি পরে চমকে দিয়েছে সে। লাস্যময়ী নাচও করে দেখিয়েছে। তবে এ সব কিছুই ঘটেছে পরিবারের আড়ালে। কিন্তু মোদক পরিবারে ব্যক্তিগত বলে কিছু নেই। সবাই সবার সুখে দুঃখে একসঙ্গে। তার দুজনে আলাদা সময় কাটিয়ে একটু অন্যায় তাদের হয়েছে বই কি! দিদি জামাই বাবুদের হাতে ধরা পড়ে লজ্জায় একশেষ তাঁরা। মিঠাইয়ের এমন ভিন্নতর সাজ দেখে সকলে তো অবাক। তবে ব্যক্তিগত ভাবে তাঁরা যাই করে থাকুক। সকলের সঙ্গে আনন্দ না ভাগ করলে কী চলে? শাস্তি স্বরূপ বিবাহ বার্ষিকী দ্বিতীয় পর্ব। তাতে আর কোনও সাহেবিয়ানার চিহ্ন মাত্র নেই। নীল পাঞ্জাবিতে একেবারে বাঙালি বাবু সেজে মিঠাইয়ের সামনে মালা হাতে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মিঠাই ও লাল শাড়িতে একেবারে সেই নববধূটি। গতবছরের মতো আবার মালা বদল করেছে দুজনে সঙ্গে চলেছে দেদার মিষ্টি বিলি একেবারে জমজমাট বিবাহ বার্ষিকীর আসর।
তবে এত জমকালো ‘সেলিব্রেশন’-এর মাঝে উঁকি দিচ্ছে নতুন বিপদ। আদিত্য আগরওয়াল ভাই ওমির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছে। স্থানীয় কাউন্সিলার প্রমিলা সাহাকে টাকা আর ফ্ল্যাটের বিনিময়ে বশ করে ফেলেছে। জমিজমা কেড়ে একেবারে পথে বসাতে চাইছে। ফলে আনন্দ অনুষ্ঠানের মাঝেও একটা দুশ্চিন্তা থেকে যাচ্ছে। আগামী দিনে আবার কোন বিপদ ওৎ পেতে বসে আছে কে জানে?