Sampurna Lahiri: ‘রূপে লক্ষ্মী, অঙ্কে অষ্টরম্ভা’! যোগ-বিয়োগ করতে গিয়ে সর্ব সম্মুখে হিমশিম খেলেন সম্পূর্ণা

লক্ষ্মী পুজোর পূণ্য তিথিতে টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের নাম আসছে সামনে। অভিনয়ের পারদর্শীতার বাইরে কে কতটা লক্ষ্মীমন্ত তা দেখে নেওয়ার পালা। অভিনেত্রী সম্পূর্ণা লাহিড়ী রূপে তো লক্ষ্মী। কিন্তু গুণে কী সরস্বতী? ফাঁস হল সেই সত্য। সরস্বতীর সঙ্গে একেবারেই বোঝাপড়া নেই লক্ষ্মীমন্ত সম্পূর্ণার। একদা নিজেই টিভি পর্দায় এসে জানিয়েছিলেন সে কথা।
টেলিভিশন দুনিয়ায় কাটাচ্ছেন দীর্ঘ ১১ বছর। মডেলিং দিয়ে কেরিয়ারের সূচনা হয়েছিল। ১১ বছর ধরে গ্ল্যামার দুনিয়ায় বেশ নাম করেছেন এই অভিনেত্রী। অনেক ছোট বয়স থেকে কাজ শুরু করেছেন তিনি আর আজ বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন। তবে পড়াশোনার হাত থেকে মুক্তি পেতে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছিলেন সম্পূর্ণা। তখন সবেমাত্র মাধ্যমিক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন তিনি বাঁচতে চেয়েছিলেন পড়াশোনার হাত থেকে?
সম্পূর্ণা জানিয়েছেন বাড়ির একটা মেয়ে, লক্ষীবারে জন্ম তাই সকলেই মা লক্ষ্মীর আবির্ভাব বলে ধরে নিয়েছিলেন।কিন্তু বড় হতেই পড়াশোনার জন্য মায়ের কাছে প্রচুর মার খেয়েছেন তিনি কথায় কথায়। মাধ্যমিক দেওয়ার পর তিনি তড়িঘড়ি মডেলিং জগতে প্রবেশ করলেন । বাবা ব্যক্তিগতভাবে স্বপ্ন দেখতেন মেয়ে অভিনেত্রী হবে। কিন্তু ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে অঙ্কে পাস করা মায়ের মেয়ে হয়ে ১২ টাকা আর ২৪ টাকা যোগ করতে হিমশিম খান সম্পূর্ণা। মেয়ের এই অবস্থা দেখে খানিক হতাশ হয়েই অনুমতি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সম্পূর্ণার মা।
দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এই গল্প বলতেই হেসেই খুন রচনা ব্যানার্জী। বলেছিলেন, ‘এ তো ফুলটুসি পুরো’! দর্শক সকলেই বেশ মজা পেয়েছিলেন। অনেকে আবার অভিনেত্রী সম্পূর্ণার সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। তবে এই লক্ষ্মীমন্ত সম্পূর্ণাই ‘নজর’ ডাইনির চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। কোমড় ছাপানো বিনুনি, গভীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, তীর্যক হাসি আর মন ভোলানো রূপটান। লক্ষ্মীর ভেতর থেকেই যে বেরিয়ে আসবে এমন অলক্ষ্মীর ভয়ংকর অভিনয় তা কি কেউ জানত?