Shaheber Chithi: মানবিকতার উদাহরণ রাখল ধারাবাহিক! বিশেষ সক্ষম শিশুদের মাঝে হিরো হয়ে উঠল সাহেব

জলসার পর্দায় নবাগতদের ভীড় লেগেই আছে। শুরু থেকেই তাই চমক দিতে শুরু করেছে ধারাবাহিক গুলি। সাহেবের চিঠি’ ইতিমধ্যেই সেরার তালিকায় নাম লিখিয়েছে।তার প্রধান কারণ প্রতীক সেন ,বাংলা ধারাবাহিকের এক প্রসিদ্ধ অভিনেতা। দেবচন্দ্রিমাও অভিনয়ের জন্য সুখ্যাতি অর্জন করেছে ইতিমধ্যেই। তবে সবচেয়ে সুন্দর হচ্ছে গল্পের অভিমুখ্।সদ্য হারানো পা ভুলে কীভাবে একটি মানুষ তার জীবনের গল্প লিখতে পারে,এটাই গল্পের মূল আকর্ষণ।সাহেবের পাশে শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে চিঠি।প্রতি সপ্তাহে আসছে নতুন প্রোমো। এবারের পর্বের মূল আকর্ষণ তার মানবিক দিক।
img 20220830 212500
দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে সাহেবের হতাশাগ্রস্ত সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চিঠি। তবে খুব সহজ হয়নি তাদের দাম্পত্যের পথ চলা। সাহেব হঠাৎই নিজের প্রতিবন্ধী জীবন মেনে নিতে পারছে না। সেখানে নববধূ চিঠির অধিকারবোধ তার সহ্যের সীমার বাইরে হয়ে উঠেছে। প্রতিবন্ধকতা মেনে নিলেও কৃত্রিম পা লাগিয়ে জনমানসে হাসির পাত্র হতে চায় না। তবু চিঠির বিপদের দিনে কৃত্রিম পা লাগিয়েই অগ্নিকুন্ড থেকে উদ্ধার করে চিঠিকে। নতুন প্রোমোতে তাই চিঠি চেষ্টা করেছে আরও বেশ কিছুটা সহজ করে দিতে সাহেবকে। তাই সে একটা অভিনব বুদ্ধি বার করেছে।

সাহেবকে নিয়ে গেছে ছোট্ট ফুলের মতো শিশুদের ভীড়ে। কিন্তু একটু নিবিড় ভাবে দেখলেই লক্ষ্য করা যাবে। শিশুগুলির কারও হাত নেই তো কারও পা, কেউ বা বধির, কেউ অন্ধ। কিন্তু প্রত্যেকটি বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুরা হাসিখুশি । একটা দুর্ঘটনা তাদের জীবনকে থামিয়ে দিতে পারেননি। এর মধ্যে সাহেবের মতোই পা হারা বাচ্চা প্রশ্ন করে “আমিও সাহেব দাদার মতো গান গাইতে পারব আমারও পা নেই”। চিঠি জানায় সাহেব স্যার যদি পারে তোমারাও পারবে। সবাইকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তোমার জীবনের হিরো কে? সকলে সমস্বরে বলে ওঠে ‘সাহেব স্যার’। সাহেব তাদের অনুপ্রাণিত করতে পেরেছে ভেবে নিজেও দুঃখ মুছে হেসে ফেলেন।

দর্শকদের এই প্রোমো দেখে মন ছুঁয়ে গেছে। ধারাবাহিকের মধ্যেও যে এত সুন্দর বার্তা দেওয়া যায়। তারই প্রমাণ এই ধারাবাহিক। যেমন সুন্দর বিশেষ সক্ষম বাচ্চা গুলি তেমনই সুন্দর দেখাচ্ছে দেবচন্দ্রিমা ও প্রতীককে। ফলে বেশ চাপে রয়েছে জি বাংলা, একা মিঠাই ও লক্ষ্মী কাকিমার ওপর নজর থাকলে হবে না।




Back to top button