Mithai:জেলের লৌহ কপাটে বন্দি সিড! স্বামীর পরিস্থিতি দেখে অশ্রু বন্যা মিঠাইয়ের চোখে

ওমির মরণ কামড় থেকে বাঁচল না মিঠাই ( Mithai )পরিবার। টাইম বোম থেকে পরিবারকে বাঁচাতে পারলেও সিডের কপালে নেমে এল দুর্ভোগ। আবার ফিরে এসেছে ‘মিঠাই’ টানটান পর্ব। ওমির প্রাণঘাতী হামলা। গোপালের ইচ্ছায়, মিঠাই পরিবারের একতায় আর সিদ্ধার্থের ( mithai-sid ) চেষ্টায় সেই বোম নিষ্ক্রিয় করতে পারল। কিন্তু ওমির ওপর রাগে উন্মাদ হয়ে বেরিয়ে গেল সিড। তারপর ওমির সঙ্গে মুলাকাত হতেই শুরু হয়ে গেল ‘শুম্ভ-নিশুম্ভের লড়াই’। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি ছাড়বে না। হাতে রয়েছে পিস্তল, তাই দিয়ে ওমি টার্গেট করল সিদ্ধার্থকে ( Siddharth ) । তারপর বন্দুক নিয়ে শুরু হল লড়াই। টানাটানিতে গুলি এসে লাগল ওমির বুকে। শত্রু নিকেষ। কী ভাবছেন? রেহাই পেল সিদ্ধার্থ সমেত মিঠাই পরিবার। একেবারেই না। বরং ভাগ্যের পরিহাসে বদলে গেল পরিস্থিতি।
প্রমাণ বলছে,লড়াইয়ের সময় টানাটানিতে সিদ্ধার্থের হাত থেকে গুলি চলে যায়। ওমি সিড দুজনেই দুজনের ওপর চড়াও হয়েছিল। এমনকি পরিবার থেকে পুলিশ সকলেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গুলিটা সিদ্ধার্থ চালিয়েছে। তাই পরিণামে হাজত বাস। এসিপি রুদ্র এসময় কলকাতায় নেই। তাই পুলিশ নিজের কাজ করবে। সিদ্ধার্থকে ধরতে বাড়িতে এল পুলিশ। মিঠাই ( Mithai ) আর গোটা পরিবারকে কাঁদিয়ে সিড কে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল।
মিঠাইরা আপ্রাণ চেষ্টা করছে বেল করানোর। কিন্তু সমস্ত প্রমাণ সিডের বিরুদ্ধে তাই ছাড়া পাওয়া যে সহজ নয় তা বুঝে গেছে সকলে। কেবল মিঠাই বুঝতে পারছে না। সিডকে গারদে দেখে অঝোরে কেঁদেই চলেছে। সিড ভেতর থেকে ভেঙে পড়লেও, বাইরে থেকে বাড়ির সকলকে শক্ত থাকতে বলছে। রুদ্র ফিরে এসেছে। চেষ্টা করছে সিডের পক্ষে যতটা করা যায়। তবে আশার আলো দেখছে না রুদ্র। গল্পের মোড় ক্রমশ জটিল হচ্ছে। খুনের দায়ে অভিযুক্ত সিদ্ধার্থকে কি বাঁচাতে পারবে মিঠাই? গোপাল কী ‘হেলেপ’ করবে সিদ্ধার্থকে? নাকি বিনা দোষে পরিস্থিতির শিকার হয়ে জেলেই কাটবে বাকি জীবন? একাধিক প্রশ্নের ঘনঘটা চারিদিকে।
এদিকে মিঠাই ভক্তরা তো কেঁদে ভাসাচ্ছে। সিদ্ধার্থকে কখন ও জেলে যেতে হবে, একথা কল্পনা করতে পারেনি কেউ। সকলেই বলছেন, প্রোমোতে তো সিদ্ধার্থ পরিবারকে বাঁচাচ্ছে এমন ইঙ্গিত ছিল। কোথা থেকে কী হয়ে গেল! সিড-মিঠাইয়ের এত দুর্দশা আর মেনে নিতে পারছে না মিঠাই প্রেমীরা। কেউ কেউ তো বলছে, “জুকু কাকুর অবিচার! মিঠাইদের শান্তিতে থাকা সহ্য করতে পারে না”, কেউ বলছেন, “মিঠাই একঘেয়ে হয়ে গেছে বলেছিলাম, তাই বলে সিদ্ধার্থকে এত বড় শাস্তি দিলে”। আবার অনেকে তো বলছে, “গোপালের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেল আমাদের “। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে মিঠাই পর্দার এপার- ওপার গোটা পরিবারের।