Sonamoni Saha: ‘আমার কোনো বন্ধু নেই, কেউ বন্ধুত্ব করতে চায় না’ পুজোর দিনে কেন অভিমানী সোনামনি?

পুজো মানেই সকলের মনে আনন্দ। শহর থেকে গ্রাম যেন হয়ে ওঠে মহামিলন ক্ষেত্র। দুঃখ বিবাদ ভুলে চরম শত্রুও হয়ে ওঠে পরম বন্ধু। দেবীর আগমনে চারিদিকে ইতিবাচক ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু এর মাঝেও কার ও মনে থেকে যায় দুঃখের রেশ। প্রেম ভাঙার ব্যাথা অথবা বন্ধু হারানোর যন্ত্রণা। তেমনই আর পাঁচজন মানুষের মতো অভিনেতা- অভিনেত্রীর জীবনেও থাকে এমনই সব গোপন কথা। পুজোর আলোর থেকে দূরে গিয়ে পাহাড়ের কোলে খোঁজেন শান্তি, কেউ বা থাকেন ঘরবন্দী। শুনলে আশ্চর্য হবেন, ‘এক্কা দোক্কা’র রাধিকার একাধিক বন্ধু থাকলেও বাস্তবে সোনামনি কিন্তু একলাই কাটান পুজো। কেন? কারণ তার কোনও বন্ধু নেই।

দীর্ঘদিন টেলি পর্দায় থাকা সত্ত্বেও বাকিদের থেকে কয়েক যোজন দূরেই থাকেন তিনি। পুজোর আগে জমজমাট চলছে শ্যুটিং। অভিনয়ে রাধিকা একেবারে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু অভিনয় শেষ হলেই একলা হয়ে পরেন সোনামনি। ষষ্ঠীর পর বাড়ি বসেই পুজো কাটবে সোনামনি সাহার। তবে একলা থাকতেই ভালোবাসেন তিনি। ইচ্ছেমতো লং ড্রাইভে বেরিয়ে পরেন। পুজোর দিন মানে সোনামনির কাছে নিজের সঙ্গে আর একটু বেশি সময় কাটানোর অবকাশ। তার কথায়, ‘পুজোর চারটে দিন আমি নিজের সঙ্গে সময় কাটাই। আসলে আমার কোনও বন্ধু নেই। তাই সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার সুযোগও নেই। গত চার বছর ধরে একাই পুজো কাটাচ্ছি। নিজেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। এ দিক-ও দিক ঘুরে বেড়াই।’

এত দিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে কেন একটি বন্ধুও জোটাতে পারলেন না সোনামনি। সম্ভবত তিনি নিজেকে ‘ইন্ট্রোভার্ট’ বলবেন। নিজে থেকে আলাপ জমাতে পারদর্শী নন মোটেই। ফলে সকলেই যেন তাকে একটু এড়িয়েই চলেন। বাস্তবে মানুষের মনে নায়িকাদের জীবনযাপন সম্পর্কে যে ধারণা থাকে, তার থেকে অনেকটাই ব্যাতিক্রমী সোনামনি সাহা। একলা থাকাটাই অভ্যাস করে নিয়েছেন তিনি তবে তার ও ইচ্ছা করে বন্ধুত্ব করতে ঘুরতে বেড়াতে কিন্তু সেভাবে কেউ এগিয়ে আসে না। সোনামনির কথায়,’শুধু ইন্ডাস্ট্রি কেন! আমার কোথাও কোনও বন্ধু নেই। জানি না কেন কেউ আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় না। কোনও অনুষ্ঠানেও আমাকে ডাকা হয় না। হয়তো আমারই কোনও সমস্যা আছে। কিন্তু আমারও ইচ্ছা করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। লং ড্রাইভে যেতে।’

তবে পুজো মানেই নিজের মতো করে গুছিয়ে নেওয়া। সারা বছরের জমে থাকা আক্ষেপকে দূরে ঠেলে একটু আনন্দ করতেই হয়। আর সেরকমই সোনামনি সব আনন্দ পেটপুজোতেই। পুজোর চারদিন পর্দার রাধিকা একেবারেই বাইরের খাবারে মনো নিবেশ করেই। বাড়ির খাবারের ধারে কাছেও যান না। প্রয়োজন হলে আনিয়ে নেন বাড়িতেই। তবে তিনি স্বীকার করেন একটু বেশিই অলস তিনি। তার ঘুরতে যেতে মন চাইলেও কুঁড়েমির জন্য আর বেরোতে চাননা।




Back to top button