Soumitrisha Kundu: আদৃত নয়! দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে অকপটে ভ্যালেন্টাইনের নাম জানালেন মিঠাই

মিঠাই ভক্তদের জন্য আজ অত্যন্ত খুশির দিন। দীর্ঘদিন পর জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিঠাইকে দেখা যাবে দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। সঙ্গে থাকবেন উচ্ছেবাবু ওরফে আদৃত। একবছর আট মাসের একটি সুদীর্ঘ যাত্রাপথে এই প্রথম দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন সৌমিতৃষা। তাই তাকে ঘিরে মিঠাই-ভক্তদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। রবিবার লক্ষ্মীপুজোর বিশেষ পর্বে জি বাংলার পর্দায় সন্ধে সাড়ে আটটায় সম্প্রচারিত হবে সেই পর্ব। আর যার জন্য মুখিয়ে রয়েছে সকল মিঠাইপ্রেমীরা। তবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে টুকরো ঝলক। সেখানেই সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ভালোবাসার মানুষের নাম জানিয়ে দিলেন মিঠাই।
রচনার প্রশ্নের ঝড়ের মুখোমুখি হলেন সৌমিতৃষা। ছলে বলে সৌমিতৃষার থেকে তার মনের মানুষটির নাম বের করার চেষ্টা করলেন রচনা ব্যানার্জী। তিনি বললেন, মিঠাই যেমন তাঁর উচ্ছেবাবুর জন্য পাগল, সেরকম সৌমিতৃষার মনের মানুষ টি কে? আর তাতে মিঠাইয়ের একেবারে চটপট জবাব, ‘‘কেন আমি তো নিজের ভ্যালেন্টাইন হিসেবে জি বাংলার নাম নিয়েই নিয়েছি। ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে যারা আমাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে টি গার্ডেনের মধ্যে বাথটবে ফুল দিয়ে দিচ্ছে, শিফন শাড়ি পরাচ্ছে, আমার ইচ্ছে ছিল বেশ ‘তেরে মেরে ’তে নাচব, সেটাও পূরণ করে দিয়েছে।তাই জি বাংলার চেয়ে ভালো ভ্যালেন্টাইন আর কে হতে পারে!” কিন্তু এই জবাবে ঠিক তৃপ্তি পেলেন না রচনা। রচনার প্রশ্ন থেকে পালানো বেশ কঠিন কাজ।
এরপর রচনা যখন প্রশ্ন করেন, সৌমিতৃষার মনের
মানুষকে কী রান্না জানতে হবে? তাতে জবাব আসে ‘না সেরকম কোনও ক্রাইটেরিয়া নেই’। সঙ্গে সঙ্গে রচনা বলেন , কেন তোমার ফাইফরমাশ খাটতে হবে তো? এরপরই লাজুক হেসে মিঠাই রানি বললেন, ‘একটু প্যাম্পর করতে হবে আর কী! ভালোবেসে আগলে-টাগলে রাখবে’। তবে পছন্দের মানুষের নাম বের করতে পারেননি রচনা ব্যানার্জী। আরও বেশ কিছুক্ষণ হুর হুর ইংলিশে কথা বলেছে সে। জানিয়ে দিয়েছে মিঠাই পরিবারের করিৎকর্মা বৌমা আসলেই কিছুই পারেননা। পায়ের সামনে জুতোটিও এগিয়ে দিতে হয়। শ্যুটিং না থাকলে বেলা একটার আগে বিছানা ছাড়েননা। এমন অনেক জানা অজানা গল্পের ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছেন মিঠাই রানি।
লাল পাড় হলুদ শাড়িতে দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চ ছাড়াও তাকে দেখা গিয়েছে কার্নিভালে।সেখানেও মাথায় সিঁদুর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে শোভা বাড়িয়েছেন তিনি। অনেকেই অবশ্য প্রশ্ন করেছিলেন মিঠাইয়ের মাথায় সিঁদুর কেন? আসলে সেট থেকেই সোজাসুজি হাজির হয়েছিলেন বলেই সাজ পরিবর্তনের একেবারেই সুযোগ পাননি। সৌমিতৃষা নয়, মিঠাই হয়েই কার্নিভালে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।