Rakhee-Gulzar’s Love: সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ছেড়েছিলেন অভিনয়! গুলজারের হাতে নাকি মারও খেতে হয়েছিল রাখিকে

জয়ীতা সাহা, কলকাতা: সালটা ১৯৪৭-এর ১৫ই অগস্ট অর্থাৎ আজকের দিনে বাংলার রানাঘাটে জন্ম হয় এক উজ্জল নক্ষত্রের। এক সময় শুধু বলিউড নয় টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও দেঁদার অভিনয় করেছেন তিনি। বাংলার রানাঘাটে জন্ম হয়েছিল রাখি মজুমদারের( Rakhee-Gulzar’s Love )। ১৯৬৭ সালে গীতা দত্তের সঙ্গে বাংলা চলচ্চিত্র বোধু বোরনে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন রাখী। এরপর ১৯৭০ সালে তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি ছিল জীবন মৃত্যু।
প্রথম জীবনে রাখি বাঙালি সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও খুব শীঘ্রই সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। চলচ্চিত্র কর্মজীবনের শুরুতে, তিনি তাঁর উপাধি বাদ দিয়েছিলেন এবং চলচ্চিত্রের শুধুমাত্র “রাখি”( Rakhee-Gulzar’s Love )হিসাবে পরিচিত হন তিনি। পরবর্তীকালে গীতিকার তথা পরিচালক সম্পূরণ সিং কালরা ওরফে গুলজারকে বিয়ে করার পরে, তিনি এটিকে তাঁর উপাধি হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন এবং তারপর থেকে তিনি রাখি গুলজার নামে পরিচিত।
সূত্রের খবর, প্রথম দিকে গুলজার ও রাখির বিবাহিত জীবন সুখে কাটলেও আঁধি সিনেমার পর তাঁদের সম্পর্কের ইতি ঘটে। আঁধি সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল কাশ্মীরে। প্রসঙ্গত, গুলজার ও রাখি বিয়ে( Rakhee-Gulzar’s Love ) করার আগে বেশ অনেকটা সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় গুলজার রাখিকে বলেন তাঁকে বিয়ে করলে চলচ্চিত্র জীবন থেকে সরে আসতে হবে। রাখি সেই প্রস্তাবে রাজি হন এবং তাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন।
ইতিমধ্যেই তাঁদের মেয়ে মেঘনার জন্ম হয়। আঁধি সিনেমার পরিচালক ছিলেন গুলজার ( Rakhee-Gulzar’s Love )। সেই সূত্রে আধিঁ সিনেমার তারকা সূচিত্রা সেন ও সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে মেয়ে মেঘনা গুলজারকে নিয়ে রাখি এবং গুলজারও কাশ্মীরে যান। সূত্রের খবর, সিনেমাটির শ্যুটিং চলাকালীন কাশ্মীরেই একদিন সঞ্জয় কুমার ও সূচিত্রা সেন পার্টি করছিলেন। সঞ্জয় কুমার অত্যন্ত মদ্যপ অবস্থায় সূচিত্রা সেনকে তাঁর ঘরে আটকে দেন, গুলজার সেই সময় সূচিত্রা সেনকে তাঁর ঘরে দিয়ে আসেন। বেশ অনেক সময় গুলজার সূচিত্রা সেনের ঘর থেকে বেরোতেই সেটি চোখে পড়ে রাখি গুলজারের( Rakhee-Gulzar’s Love )। শুরু হয় দম্পতির মধ্যে কথা কাটাকাটি। এক সময় গুলজার রাখিকে বেধড়ক মারধরের থেকেও বিরত থাকেননি।
দীর্ঘ দিন ধরেই রাখিকে কভি কভি সিনেমাতে সাইন করাতে চাইছিলেন যশ চোপড়া। কিন্তু সেই রাতে রাখি-গুলজারের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পরই একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন( Rakhee-Gulzar’s Love )। পরদিন সকালে রাখি মেয়ে মেঘনাকে নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন। কাকতালীয় হলেও কভি কভির লোকেশেন দেখার জন্য সেই সময় যশ চোপড়াও ছিলেন কাশ্মীরে। রাখি সোজা চলে যান যশ চোপড়ার কাছে। সাইন করেন কভি কভিতে।
যদিও রাখি-গুলজারের( Rakhee-Gulzar’s Love ) আইনি ভাবে এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। কার্যত মেয়ে মেঘনার জন্যই তাঁরা আলাদা থাকা সত্ত্বেও আইনি বিচ্ছেদ করেননি। বর্তমানে রাখি ও গুলজার আলাদাই থাকেন। তবে মাঝেমধ্যে তাঁদের নাতিনাতনির সঙ্গে এক সঙ্গে দেখা যায়। শুধুমাত্র অভিনেত্রী নন ১৯৯৮ -পেয়ার তো হোনা হি থা – কস্টিউম ডিজাইনার ১৯৯৯ – দিল কেয়া করে – ড্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট ১৯৮২- সালে তিনি চলচ্চিত্রের জন্য তাঁর কণ্ঠ দেন। ‘তেরি নিন্দিয়া কো লগ জায়ে আগ রে’ গানটিতে তাকত কিশোর কুমারের সাথে ডুয়েট গেয়েছেন।