Sushant Singh Death: অভিযোগের আঙুল আবার রিয়ার দিকে! সুশান্ত আত্মহত্যা করতে পারে না, বলে দাবি আইনজীবী দিদির

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু গোটা বলিউডকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। ২০২০ সালে হঠাৎই বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অভিনেতার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, পরে উঠে আসে একাধিক সন্দেহজনক তথ্য। যার জেরে সুশান্ত ভক্ত থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই সরব হন বলিউডের স্বজন-পোষণ নিয়ে। প্রতিবাদের ঝড় এতোটাই বড়ো আকার ধারণ করে যে খুনের তদন্তে নামে পুলিশ। আজও সেই তদন্ত করছে সিবিআই। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোও (NCB) তদন্ত করছে মাদক যোগের। বিভিন্ন দিক থেকে মামলাটি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
তবে সময়ের সাথে সাথে ফিকে হয়ে আসে পরিস্থিতির রঙ। এখন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে মানুষ। তবে প্রায়শই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে এই তদন্তে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা জানালেন, তিনি প্রথম যখন ভাইয়ের মরদেহ দেখেন তখনই নিশ্চিত ছিলেন যে এটা আত্মহত্যা হতেই পারে না।
এক বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা সিং জানান, ‘আমি নিজে একজন ক্রিমিনাল লইয়ার।পণের জন্য আত্মহত্যা বা আরও অনেক বীভৎস মৃত্যু দেখেছি আমার জীবনে। এসব ক্ষেত্রে মৃতের দেহে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। জিভ বেরিয়ে আসা, চোখ মুখ ভয়ানক আকার ধারণ করা। কিন্তু আমার ভাইয়ের মধ্যে সেরকম কোনও লক্ষণই ছিল না। আমি কয়েকদিন পর সেই ঘরে আবার ঢুকেছিলাম। আর প্রথমদিনের মতোই দেখে বুঝেছিলাম এটা আত্মহত্যা হতেই পারে না। যেখানে গলায় দড়ি দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে, সেখানে ফ্যান আর খাটের দূরত্ব সুশান্তের উচ্চতারও নয়।’
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ২০১৯ সালে প্রথম বদল লক্ষ্য করেন সুশান্তের জীবনে। রিয়ার সাথে মেলামেশার পরই এই বদল ঘটে। প্রথমবারের জন্য ভাইয়ের সঙ্গে দিদি প্রিয়াঙ্কার ঝগড়া হয়েছিল রিয়াকে নিয়ে। এরপরের ৬ দিনের মধ্যে এই বিপদ ঘটে যায়। রিয়াকে ব্যক্তিগত ভাবে আগে থেকেই পছন্দ করতেন না প্রিয়াঙ্কা। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি কিছু সন্দেহ করেন? কে কে জড়িত এই ষড়যন্ত্রে। তিনি মনে করেন, কেউ রিয়াকে ইচ্ছে করে সুশান্তের জীবনে পাঠিয়েছিল? প্রিয়াঙ্কার মতে, বড়ো কারোর চক্রান্ত ছিল এর পিছনে।
একাধিক সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন সুশান্ত। তবে মনের মতো সঙ্গিনী পাচ্ছিলেন না। এরপর রিয়া চক্রবর্তীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান।তবে পেছনে ছিল আশ্চর্য সম্পর্কের বয়ান। কিছুদিন আগেই এনসিবির চার্জ শিট সামনে এসেছে,যেখানে পরিষ্কার লেখা আছে মাদক কিনতেন রিয়া। মাদক পাচারকারীদের টাকাও দিতেন তিনি। এরপর পৌঁছে দিতেন সুশান্তের কাছে। ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত করে তোলেন সুকান্তকে। মাদক কেনা-বেচায় জড়িত ছিলেন রিয়ার ভাই সৌভিকও। ফলে এই তদন্তের জাল যে আরও সুদূর বিস্তৃত হবে তা বলাই যায়। কিন্তু সুশান্ত সিংকে কি আর ফিরে পাবে দর্শক? এই প্রশ্ন চিরকাল নিরুত্তর হয়েই থাকবে।