Arijit Singh: মাত্র ৩০ টাকাতেই ভরপেট খাবার, জিয়াগঞ্জের অরিজিতের বাঙালি হোটেল গরীবদের কাছে ‘মসিহা’

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ তাঁর সঙ্গীতের জাদুতে মত্ত গোটা দেশ-বিদেশের মানুষ। তাঁর নাম শুনলেই আবেগে ডুব গোটা একটা জেনেরেশন। তবে অরিজিৎ মানে বলিউডের খ্যাতনামা গায়কই নন। আসলে তিনি এক মাটির মানুষ। দেশের এক নম্বর গায়ক হয়েও থাকেন তাঁর জন্মভূমি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। মুম্বাইয়ের এলাহি রাজকীয় জীবন যাত্রা ছেড়ে স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে অজপাড়াগাঁ জিয়াগঞ্জেই থাকেন অরিজিত সিং ( Arijit Singh )। নেই কোনও দেখনদাড়ি বা বিলাসিতা। এখনও ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে স্কুটারই ভরসা গায়কের।
তবে অনেকেই হয়ত জানেন না। গানের প্রতিভার পাশাপাশি অরিজিত ব্যবসায়ীও বটে। সম্প্রতি একটি হোটেলও খুলেছেন তিনি। মধ্যবিত্ত বাড়িতে জন্ম নেওয়া ছেলেটির বাবার ছিল ছোট্ট রেস্তরার ব্যবসা। রেস্তরাঁর নাম ‘হেঁশেল ‘। জিয়াগঞ্জে গেলে আজও দেখতে পাওয়া যায় সেই হোটেল। মাত্র ৩০ টাকা থেকে শুরু হয় খাবারের থালি। সাধারণ ভাবে সাজানো হোটেলটিতে গেলে আপনিও পেতে পারেন পকেটসই খাবারদাবার। বাইরে থেকে দেখলে একদমই সাধারন মানের একটি হোটেল ভিতরে গেলে সেখানে দেখতে পাওয়া যায় একাধিক কাঁচের টেবিল ও কাঠের চেয়ার।
অরিজিত যে আসলে ঠিক কতটা মাটির মানুষ সেই নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন কবি শ্রীকান্ত। সম্প্রতি পরিচালনাতেও মনোনিবেশ করেছেন তিনি। তাঁর পরিচালিত ‘মানব জমিনে’ (Manobjomin) ছবিতে অরিজিতকে দিয়ে রামপ্রসাদী একটি গান গাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সময়ের অভাবে গেয়ে উঠতে পারছিলেন না! ব্যস্ততার দরুন দীর্ঘদিন শ্রীজাতর ফোনও ধরেননি অরিজিত। অবশেষে সময় দিলেন। রাতভর স্টুডিওতে গান রেকর্ড করলেন জিয়াগঞ্জের সুপারস্টার।পরিচালক জেগে রইলেন সারা রাত, ভোর হতে দেখলেন। শ্রীজাত নিজেই সে কথা লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিচালক জানালেন, এর আগে অরিজিৎ কখনও রামপ্রসাদী গান গাননি, অথচ গান শুনলে মনে হবে, বছরের পর বছর ধরে সেই গানই গেয়ে আসছেন অরিজিৎ।