Gouri Elo: নাট্যমঞ্চ কাঁপত যাঁর অভিনয়ে, জানেন কি ‘গৌরী এল’ ধারাবাহিক ধূর্জটি বাবার আসল পরিচয়?

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: টেলিভিশনের আবির্ভাব হওয়ার আগে বাঙালির কাছে বিনোদন বলতে ছিল থিয়েটারে গিয়ে নাটক আর থিয়েটার দেখা। মঞ্চে নামীদামি সব শিল্পীদের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে বসে থাকতেন সামনের দর্শকগণ। এরপর ঘরে ঘরে আসল টেলিভিশন ( Gouri Elo ) আর বাঙালির বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠল বাংলা ধারাবাহিক। একে একে থিয়েটারের বেশির ভাগ অভিনেতা অভিনেত্রীরা চলে আসতে থাকে টেলিভিশনের পর্দায়।
নব্বইয়ের দশক থেকে প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই পৌঁছাতে থাকে টিভি। তবে এখনকার মতো এত গুলি বিনোদনের৷ চ্যানেলও ছিলও না। হাতে গোনা দুই-একটা চ্যানেল সেখানেই সেই সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল জন্মভূমি। এই ধারাবাহিক থেকে উঠে আসে একাধিক প্রতিভাবান সব তারকারা। ইতিবাচক ও খলচরিত্র সব চরিত্র মিলিয়েই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ধারাবাহিকের ( Gouri Elo ) কাহিনী।
মাঝে মধ্যে ইতিবাচক চরিত্র গুলি থেকে খলচরিত্র চরিত্র গুলি দর্শকের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এরকমই এক চরিত্র ফুটে উঠেছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৌরী এল’ ( Gouri Elo )। ধারাবাহিকে সবার সঙ্গেই কমবেশি পরিচিতি থাকলেও একজনকে কিন্তু এখনও চেনেন না অনেকেই। জানেন ‘গৌরী এল’ ধারাবাহিকে ‘ধূর্জটি বাবা’ ( Goutam halder ) র ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছেন তাঁর আসল পরিচয় কী?
এই ধারাবাহিকের আগে আরও এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ একটি খলচরিত্রে অভিনয় করতে দেখি। খলচরিত্র গুলিই এতও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলেন তিনি ( Goutam halder ) যে দর্শক আকর্ষীত হবেই। তিনি হলে তিনি গৌতম হালদার। প্রথমে তিনিও তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন নাট্যমঞ্চ থেকে। ১৯৮৬ সাল থেকে নাট্য প্রকাশ এর সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর খল চরিত্র এবং তাঁর কথাবার্তা অঙ্গভঙ্গি গা জ্বালিয়ে দেয় দর্শকদের।
বাংলার আরও সব অভিনেতাদের সঙ্গে এক সঙ্গে নাট্যমঞ্চে অভিনয় করেছেন তিনি ( Goutam halder )। যাদের মধ্যে কয়েকটি নাম হল শাঁওলি মিত্র, শম্ভু মিত্র, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার, সোহিনী সেনগুপ্ত। বর্তমানে এই সকল ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্বদেরকেই কম বেশি বড়ো পর্দায় বা টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায়। সোহিনী সেনগুপ্তকে ধারাবাহিক খড়কুটোতে অভিনয়ের পর এবার গুড্ডিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দেবশঙ্কর হালদার আবার এখন যেমন লক্ষ্মী কাকিমা সুপার স্টার অভিনয় করছেন।