Shahid- Kareena: প্রেম টেকাতে ছেড়েছিলেন আমিষ খাবার! হাজার চেষ্টাতেও শ্যুটিং করতে গিয়েই বিচ্ছেদ ঘটে শহীদ-করিনার

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্ক গড়া আর সম্পর্ক ভাঙা যেন কোনও ব্যাপারই নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী আছেন একসময় যাদের শুধু রিল লাইফে নয় রিয়েল লাইফেও একসঙ্গে দেখে বেশ ভালবাসতেন ভক্তরা। তবে সেই সব জুটি বেশি দিন খুশি করতে পারেনি ভক্তদের। অনেক তারকা জুটি পূর্ণতা দিয়েছেন তাঁদের ভালবাসার। কিন্তু এমন অনেক জুটি আছেন যাদের সম্পর্ক বেশি দিনের ছিল না। এদের মধ্যেই একটি তারকা জুটি হলেন বলিউডের বেব করিনা কপূর এবং শহিদ কপূর ( Shahid- Kareena )।
বলিউডের অন্য সব ব্রেক আপ গুলির মধ্যে কারিনা কপূর এবং শহীদ কপূরের ব্রেক আপ ছিল একটু আলাদা। রিল লাইফ হোক বা রিয়েল লাইফ বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আকর্ষণীয় কাপেলস ছিলেন শহীদ-করিনা ( Shahid- Kareena )। ভক্তরাও অপেক্ষায় ছিলেন দুজনের বিয়ের জন্য। তবে তাঁদের এই সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় সুপারহিট ফিল্ম জাব উই মেটের জন্য। শ্যুটিং চলা কালীন ব্রেক-আপ হয় তাঁদের। কেনও হঠাৎ সম্পর্ক ভেঙে গেলও তাঁদের।
শোনা যায়, ২০০৭ সালে এই ছবির শুটিং শেষ না হতেই করিনা ও শহীদের ( Shahid- Kareena ) ব্রেকআপ হয়ে যায়। কথিত আছে যে ছবিটি বক্স অফিসে মুক্তি পাওয়ার সময় শহীদ এবং করিনা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের ব্রেক আপের কারণ হিসাবে জানা যায়, ‘টাশান’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে সাইফ আলি খানের প্রেমে পড়েন করিনা। আর এরপরই শুরু হয় করিনা ও শহীদের মধ্যে নানা অশান্তি। শহীদ একবার কসমোপলিটান সাক্ষাৎকারে করিনার সাথে তাঁর সংযোগ এবং কীভাবে এটি শুরু হয়েছিল তা নিয়ে কিছু কথা জানান।
শহীদ বলেন, প্রথম সাক্ষাতের এক সপ্তাহ পরেই করিনার সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন তিনি। শহীদ কপূর এবং করিনা একে অপরের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিলেন। শহীদের সঙ্গে থাকা কালীন নিজের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করেছিলেন করিনা ( Shahid- Kareena ), আমিষের বদলে খাওয়া শুরু করেছিলেন নিরামিষ। নিজের জীবনে নিয়ে এসেছিলেন এক নতুন আধ্যাত্মিক বাঁক। একই সঙ্গে তখন করিনার আশেপাশে থাকাকালীন শহীদ একটি নতুন, এবং আরও আত্মনিশ্চিত মনোভাব তৈরি করে ছিল তিনি।
তবে ব্রেকআপের পর একবার শহীদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি আর কখনও করিনা কপূরের ( Shahid- Kareena ) সঙ্গে ছবিতে কাজ করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন না, অভিনেতা হিসেবে এটাই আমার কাজ, আগামীকাল যদি আমার প্রযোজক বলেন গরু বা মহিষের সঙ্গে রোমান্স করতে, তাহলে আমি করব কারণ এটাই আমার কাজ’।
যাই হোক বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে অনেক বছর। দুজন এখন আদালা আলাদা ভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন তাঁদের ( Shahid- Kareena ) জীবন। ২০০৮ সালে ‘টাশান’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে করিনা ও সাইফের সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছিল। বক্স অফিসে ছবিটি তাঁর জায়গা করতে না পারলেও ২০১২ সালে করিনাকে বিয়ে করেন সাইফ। দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। তাঁদের দুই ছেলে তৈমুর আলী খান এবং জেহ আলী খান। অন্যদিকে, শহীদ কপূর মীরা রাজপুতে বিয়ে করে বেশ সুখেই আছেন। তাঁদেরও দুই সন্তান। মেয়ে মিশা এবং ছেলে জেইন-এর একজন গর্বিত পিতা তিনি।