Kishore Kumar: বিরিয়ানিতে ভয়, ইলিশ মাছ ঘুষ নিয়ে গানের রেকর্ডিংয়ে বসতেন ‘অমর শিল্পী’ কিশোর কুমার

কথায় আছে, “মাছে ভাতে বাঙালি”। বাঙালি মানেই মাছপ্রেমী। তা সে মাছ যাই হোক না কেন, তার প্রতি দুর্বলতা বাঙালির চিরকালই ছিল। ভোজনরসিক বাঙালির প্রতিদিনের পাতে মাছ পড়বে না তা রীতিমত অসম্ভব। এমনকী বহু বড় বড় তারকা, সংগীত শিল্পী রয়েছেন, যাঁদের মাছের প্রতি ছিল দুর্বলতা। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন সুরের জাদুকর কিশোর কুমার ( kishore kumar ) । হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, কিংবদন্তি এই গায়কের ছিল মাছের প্রতি অগাধ প্রেম। মাছ ছাড়া দুদন্ড থাকতে পারতেন না তিনি।
ভারতের এক বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। একটা সময় এই শিল্পীর সুরের জাদুতে মজে থাকত গোটা দেশ। এমনকী এখনও তাঁর গান শুনলে মেলে পরম শান্তি। সুরের রাজা কিশোর কুমার কিন্তু একজন সংগীত শিল্পীর পাশাপাশি ভোজনরসিকও ছিলেন বটে। কেবলমাত্র খাবারের প্রতিই ছিল তাঁর দুর্বলতা। খাবারের পাতে বাঙালি খাবার না পড়লে তিনি তৃপ্তি পেতেন না। তিনি প্রচন্ড মাছপ্রেমী ছিলেন। এমনকি এও শোনা গিয়েছে যে, রেকর্ডিং-এ রাজি করানোর জন্য নাকি তাঁকে মাছ ঘুষ দেওয়া হত।
মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ বড়ই প্রিয় ছিল কিশোর কুমারের। তিনি কাজের সুবাদে মুম্বাইতে থাকতেন। তাই কেউ যদি কলকাতায় যেতেন, তবে সেখান থেকে কিশোর কুমারের জন্য মাছ নিয়ে আসতেন বলেও জানা গিয়েছে। এই সুরকার যেমন নিজে খেতে পছন্দ করতেন, ঠিক তেমনই অন্যান্য মানুষদের খাইয়েও তৃপ্তি পেতেন। শোনা যায়, প্রায়ই নাকি তাঁর বাড়িতে দাওয়াত হত। দাওয়াতে উপস্থিত গায়ক, প্রযোজকদের পাত পেড়ে খাওয়াতেন সুরের জাদুকর কিশোর কুমার।
বাঙালি সব খাবারই তৃপ্তি সহকারে খেতেন কিশোর কুমার। তবে সিঙ্গারা এবং বিরিয়ানিতে ছিল তাঁর প্রচন্ড ভয়। আসলে কিশোর কুমার যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন থেকেই সিঙ্গারা খেতে ভয় পেতেন তিনি। আর বিরিয়ানি খুব একটা পছন্দ ছিল না তাঁর। তাঁর কথায় বিরিয়ানি ছিল সুরের শত্রু। জানা গিয়েছে, বিরিয়ানি খেলে নাকি তাঁর গলা দিয়ে সুরই বার হত না। তাই কোনও গান রেকর্ডিং করার আগে তিনি কখনই হাত দিতেন না বিরিয়ানিতে।