Mithai: হাজার যুদ্ধ জিতে সাত পাকে রুদ্র-নীপা! মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে কি শান্তি আসবে তাঁর জীবনে?

অহেলিকা দও, কলকাতা : ধারবাহিকের ট্যাগলাইন ‘সুখে-দুখে মিষ্টি মুখে মিঠাই’। এই মিঠাই ( Mithai ) ধারবাহিকের মত জমজমাট গল্প খুব কম সিরিয়ালেই রয়েছে। সেইজন্যই তো একটানা ৩৫ সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ টিআরপি ধরে রেখেছে মোদক পরিবার। এই ধারাবাহিক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। মিঠাই ধারবাহিকে এখন চলছে বিয়ের বাজনা। অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে নিপার। তবে তার মা স্বয়ং এই স্বপ্নের বিরুদ্ধে। আদেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাবে নিপার ভালবাসা?
ধারাবাহিকের নায়ক সিদ্ধার্থের কলেজ জীবনের বন্ধু এসিপি রুদ্র। বেশ অনেকদিন আগেই গল্পে এনট্রি হয়েছে তাঁর। রুডির স্টাইল দেখেই প্রেমে পড়ে যায় নীপা। তার এখন হাবুডুবু অবস্থা। তবে এই হাবুডুবু থেকে কখন যে ইচ্ছেটা বিয়ের দিকে এগোবে কেউ তা বুঝতে পারেনি। এখন জেদ নিপার বিয়ে করলে এসিপি রুদ্রকেই করবে সে।
দুষ্কৃতীকে ধরে অবশেষে বরের সাজে ফিরেছে রুদ্র। নাচতে নাচতে নিপার এন্ট্রি রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দর্শকদের। চারিদিকে হইহই অবস্থা। সবাই খুশিতে আত্মহারা। স্যান্ডির ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হচ্ছে মুহূর্তরা। রুদ্রকে নীপার আদেশ, সুন্দর করে সিঁথিতে সিঁদুর পরাতে হবে তাকে। চেয়েছিল, জীবনের সেই বিশেষ মুহূর্ত হবে ছবির মতো সুন্দর। কিন্তু তা আর হল কই! ঠিক সিঁদুর পরানোর সময় হাজির হলেন কোনের মা। সঙ্গী তোর্সা, রাজীব আর অমরেশ।
সুলতার সামনেই তার মেয়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরায় পুলিশ জামাই। রাগে-দু:খে জ্ঞান হারায় সে। সকলে মিলে বোঝানোর চেষ্টা বিফলে যায়। নিপার বিয়ে মানতে নারাজ সুলতা। বাড়ি ফেরে বড়-কনে। বিয়ে নিয়ে মা অসন্তুষ্ট থাকায় মন ভাল নেই মেয়েরও। আর ঠিক তখনই সিদ্ধেশ্বর আসেন। গিন্নি সুষমাকে নিয়ে নাতি আর নাতজামাইকে আশীর্বাদের পালা। এসেছে অনুরাধাও।
মন ভালো নেই রুদ্ররও। অনুরাধা সান্ত্বনা দেয় তাকে। বলেন, পালিয়ে বিয়ে করে কোনও ভুল করেনি তাঁরা। সুষমা যদিও তাঁর স্বামীকেই দোষ দেয়। তাঁর দাবি, বাড়ির কর্তা জোর খাটালেই আর এত সমস্যা হত না। ভালোয় ভালোয় মিটত নাতনির বিয়ে। রুদ্র-নীপা এখন স্বামী-স্ত্রী। তবে সুলতা কি মেনে নেবে এসিপি জামাইকে? নাকি নতুন কোন টুইস্ট আসতে চলেছে ধারাবাহিকে?