Ratri Ghatak: দক্ষতার অভাব ছিল না! ‘সুবর্ণলতা’র পর ৬ বছর কর্মহীন জীবন কাটিয়েছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী

অহেলিকা দও, কলকাতা : বিখ্যাত ধারাবাহিক সুবর্ণলতার কথা মনে আছে? এই ধারাবাহিকে রাত্রি ঘটকের ( Ratri Ghatak ) সেই অসাধারণ অভিনয় আজও মানুষের মনে রয়ে গেছে। তাঁর কথায়, অভিনয় জগতে কাজ পাওয়া সহজ, কিন্তু পরপর কাজ পেতে যথেষ্ট পরিশ্রম প্রয়োজন হয়। তিনি বিখ্যাত ধারাবাহিক সুবর্ণলতায় কাজ করার পর ৬ বছর কাজ পাননি। তাকে বারংবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিনয় জগতকে ঘিরে কেন তাঁর এইরকম বিস্ফোরক মন্তব্য?

পড়াশোনা শেষ করে তিনি চাকরিও করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি পড়াতেন। নিজেকে কিছু একটা করতে হবে এই তাগিদে তিনি নাটকের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। তিনি বলেন, “আমার প্রথম ব্রাত্য দার সঙ্গে যোগাযোগ হল। তারপর লোক কৃষ্টিতে ফালগুনী চ্যাটার্জী, রুমকি চ্যাটার্জী ওদের সঙ্গে নাটক করতে শুরু করলাম। সেই নাটকের মঞ্চ থেকেই আমার টেলিভিশনে ডাক পাওয়া।

ratri ghatak

টেলিভিশনের পর্দায় রাত্রি ঘটকের প্রথম কাজ ২০০৫ সালে তৃতীয় অতিথি। তারপর দূরদর্শনের পর্দায় পুনরুত্থান বলে একটা ধারাবাহিক হত সেখানেও তিনি অভিনয় করতেন। এর আগে তিনি ছোটখাটো সঞ্চালনার কাজ করতেন। টেলিভিশনে কাজের শুরুতে কোন পরিশ্রম তাকে পেতে হয়নি। তবে তিনি বললেন, জীবনের পরে গিয়ে তাকে পরিশ্রম করতে হয়েছিল। কিন্তু কেন?

সুবর্ণলতা ধারাবাহিকের মাধ্যমে রাত্রি ঘটক নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার আগে জি বাংলার একটা ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করতেন সুখ ঠিকানা বৈকুন্ঠপুর। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি পান। এ বিষয়ে তিনি বললেন, “সুবর্ণলতা শেষ হওয়ার পর আমি ৬ বছর কোন কাজ পাইনি। ২০১২ সালে সুবর্ণলতা শেষ হয় তারপর আমি কাজ করি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে স্টার জলসায় ‘বিজয়িনী’।”

ratri ghatak

তিনি আরও বললেন, “অনেক যোগাযোগ করতাম। কিন্তু সবার একটাই উত্তর ছিল তোমাকে দেওয়ার মত কোন চরিত্র নেই। আর পরে বলব। তারপর এই কিছুদিন আগে সান বাংলায় ফিরকি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি। তবে চেষ্টা থাকলে সবকিছু করা যায়। আমি সকলের কাছে ধন্যবাদ জানাই যারা আমায় সাহায্য করেছে। যারা আমার অভিনয় জগতে পাশে ছিল না তাদেরকেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।




Back to top button