Gaatchora: হানিমুনে কাছাকাছি ঋদ্ধি-খড়ি, বনি-কুনালরা! দূরত্ব মিটিয়ে এবার কী শুধুই প্রেম?

ধারাবাহিক জমজমাট করতে আসে গল্পের নানান মোড়। চরিত্রদের যেমন নিজস্বতা রয়েছে তেমনই প্রত্যেকটি সম্পর্কেও রয়েছে আলাদা বুনন। স্টার জলসার গাঁটছড়া ধারাবাহিকের খড়ি ‘ঋদ্ধিখড়ির সম্পর্ক একেবারেই ভিন্ন রকম। খড়ির বিপরীত মেরুতে ঋদ্ধি। দুজনের মিলমিশ থাকলেও মানসিক ব্যবধান অনেকখানি। দু’জনের সম্পর্ককে মসৃণ করতেই আয়োজন হানিমুনের। আর দর্শক তাদের রোমান্টিক মুহূর্ত দেখবে বলে উৎসাহী হয়ে চোখ রাখছে স্টারের পর্দায়।

শুধু একজোড়া নয়,তিন জোড়া হানিমুনের আয়োজন। রাহুল-দ্যুতির সম্পর্কের অগভীরতা অনেক বেশি। যতটা না প্রেমের সম্পর্ক তার চেয়ে অনেক বেশি স্বার্থের। স্বার্থ-দ্বন্দ্ব মুছে ভালোবাসা যে জন্মাবে না তা বলা যায় না। আবার কুণাল-বনির প্রচ্ছন্ন ভালোবাসাকে পছন্দ করে দর্শক।কারণ তাঁরা একে অপরকে জানাতেই পারেনি নিজেদের অনুভূতি। তিন জুটি জমিয়ে দিয়েছে হানিমুন। সমুদ্রের হাওয়া গায়ে লাগিয়ে কাছাকাছি এসেছে তারা। জলকেলিতে অংশ নিয়েছে সকলেই। কিন্তু হোটেলে ফিরেই বদ্ধ ঘরে দূরত্ব বেড়েছে আবার। ঋদ্ধির প্রেমের ইঙ্গিতকে ভুল বুঝে আরও অস্বস্তিতে পড়েছে খড়ি। মাঝে ঘটেছে একাধিক মজাদার ঘটনা। ঘর বদল হয়ে রাহুলের আনা নাইট স্যুট গিফ্ট চলে এসেছে খড়ির হাতে। নিজের স্বামীর অভিসন্ধিকে সন্দেহ করেছে সে। ফলে মধ্যরাতেও সজাগ থেকেছে। কোনভাবেই ঋদ্ধিকে কাছাকাছি আসতে দিতে চায় না। তবে ঋদ্ধি যখন ঘুমের ঘোরে হাতটা আলতো করে খড়ির হাতে রাখে তখন তাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না খড়ি। ভালোবাসার এই তো বহিঃপ্রকাশ।


আবার রাহুল দ্যুতি নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ালেও, মধ্যরাতে স্ত্রীকে রেখে জুলির ঘরে যেতে দেখা যায় রাহুলকে। আর ওদিকে বনি কুনালের জন্য একটি ‘সারপ্রাইজ’ এনেছে, যা হয়তো সারাজীবনের জন্য বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে দুজনের সম্পর্ক এই সারপ্রাইজ। কিন্তু বনি টের পায় হয়তো কুনালের প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন টান জন্মেছে তার। কুণালের নিষ্পাপ মুখের দিকে চেয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। হাজার ঝড় ঝাপটা এলেও এই প্রেমের বন্ধন যেন আরও দৃঢ় হয় চাইছেন গাঁটছড়া প্রেমীরা। তবে দ্বিধা-সংকোচ ভুলে ঋদ্ধি-খড়ি, বনি-কুনালরা আরও কাছে আসবে কিনা তা সময় বলবে।




Back to top button