Bengali Serial: পুজোর আগেই কাজ বন্ধ তারকাদের! তালা পড়ছে এই সাত সিরিয়ালের শ্যুটিং সেটে, জানেন কি নামগুলো?

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: বাঙালি গৃহিণীদের কাছে, সারা দিনের কাজের শেষে একটু বিনোদনের জায়গা মানেই সিরিয়াল ( Bengali Serial )। আর যদি সেটা বাংলা ধারাবাহিক হয় তাহলে তো আর কথায় নেই। বিনোদনের বিভিন্ন চ্যানেলে একাধিক ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হয়। আর সেই সব ধারাবাহিক গুলোতেই মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে অনেক নতুন নতুন মুখের। কখনও কখনও এই ধারাবাহিক গুলির মধ্যে দিয়ে উঠে আসে ভবিষ্যতের নাম করা অভিনেতা অভিনেত্রী। আবার কখন কাজের অভাবে হারিয়েও জেতে দেখা গেছে অনেক ভাল ভাল সব তারকাদের।
তবে ধারাবাহিকের সঙ্গে যে শুধু অভিনেতা অভিনেত্রীরা ( Bengali Serial ) জড়িয়ে তবাকেন তা নয়। এরই সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একাধিক মানুষের রুজিরোজগার। তাই একটা ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পরেন ক্যামেরা ম্যান থেকে লাইট ম্যান, মেকাপ আর্টিস এবং সঙ্গে আরও নানান মানুষ। তবে ভাবুন যদি একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় সাত-সাতটা ধারাবাহিক তাহলে কী অবস্থা হতে চলেছে টলিপাড়ার।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে সাত-সাতটা ধারাবাহিক। ছোট পর্দা হোক কিংবা বড় পর্দা, সব সময় কলা
কুশলীদের একটা অনিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করতে হয়। তার মধ্যেই আচমকা কাজ হারানোর ভয়, নতুন কাজ না পাওয়ার আশঙ্কা, অভিনেতা থেকে টেকনিশিয়ান ( Bengali Serial ) সকলকেই কম-বেশি এই অনিশ্চয়তার তো থাকেই।এরই মধ্যে ধারাবাহিক শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ কি বড় জোর তিন-চার দিন আগে কলাকুশলীকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যে ধারাবাহিক আর কয়েক দিন পরেই বন্ধ করে দেওয়া হবে শ্যুটিং। কেন এমনটা হচ্ছে? এর পর কী করবেন কলাকুশলীরা?
এই নিয়ে কলাকুশলীদের সঙ্গে কথা বললেন এক ভারতীয় সংবাদ সংস্থা। সেখানেই ‘গৌরী এলো’ ( Bengali Serial ) ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ঈশান ওরফে বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটার নেপথ্যে অনেকগুলো কারণ কাজ করে। কলাকুশলীর মাত্র কয়েক দিন আগে জানানোটা খুবই ভুল। ইন্ডাস্ট্রি কিছু মানুষ এটাকে প্রায় নিয়ম করে ফেলছে। তারা বলে, এখনই শিল্পীদের জানিও না, তা হলে শট দিতে চাইবে না।”
এ বিষয়ে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “না অবশ্যই নোটিস দেওয়া হয়। আগে থেকেই জানানো হয়। দিনের শেষে এটা সমাজ সেবা নয়, এর মধ্যে একটা ব্যবসা আছে। লাভের মুখ দেখা না গেলে কর্তৃপক্ষ সেই ধারাবাহিক চালাতে চান না। এটা একটা লড়াই। আমরা জেনে বুঝেই এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে নেমেছি। আমার শো নম্বর না দিলেও আমাকে সরে যেতে হবে। যে কোনও কর্পোরেট সংস্থাতেও এ ভাবেই কাজ হয়। তেমনই এখানে নিজেদের লক্ষ্যপূরণ না করতে পারলে কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”
এই আচমকা ধারাবাহিক ( Bengali Serial ) বন্ধের খবর জীবনে অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে সকলের। আর্থিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে ধারাবাহিকের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রতিটা মানুষের জীবনে। এ সব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই আঙুল ওঠে চ্যানেলের দিকেই। তাই এ প্রসঙ্গে ওই সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করেছিলেম জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ইস্ট ক্লাস্টারের হেড সম্রাট ঘোষের সঙ্গে। তিনি জানালেন, একটি ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে শুধু মাত্র টিআরপি নয়, কাজ করে আরও অনেক কিছু বিষয়।