Sohail Khan: বিচ্ছেদ হতেই খান পরিবার থেকে সরে এলেন সোহেল-পত্নী, মায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ ছেলে

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: বলিউডের নাম করা পরিবার হল খান পরিবার। খান পরিবারের কথা শুনলেই মনে পরে সলমন খান সোহেল খানের ( Sohail Khan ) কথা তবে চেনেন কি খান পরিবারেই এই সদস্যকে? নাম নির্বাণ খান, তবে এখন আর তাঁর নামের পিছনে দেওয়া হয় না খান পদবি। যার কারণে ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে নির্বাণ। উগরে দিলেন তাঁর ক্ষোভ। কার উপর এত রেগে রয়েছেন নির্বাণ? কেনই বা তাঁর নামের পরে আর বসানো হয় না খান পদবি?
বলিউড অভিনেতা সলমন খানের ভাইপো হলেন নির্বাণ খান। অর্থাৎ ভাই সোহেল খান এবং সীমা সচদেবের (Seema Sajdeh) ছেলে তিনি। প্রসঙ্গত, সোহেল খানের সঙ্গে সীমা সচদেবের (Seema Sajdeh) বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলার মাঝেই বাড়ির নেমপ্লেট থেকে খান পদবি সরিয়ে দিলেন সলমান খানের বৌদি (Seema Sajdeh)। নতুন নেমপ্লেটে লেখা হয়েছে সীমা, নির্বাণ ও ইউহান, নেয় সোহেলর নাম এবং পদবি কোনটাই। আর এতেই মায়ের উপর ক্ষুব্ধ সোহেল পুত্র নির্বাণ।নেমপ্লেটে বাবার নাম না রাখায় মন ভেঙেছে নির্বাণের। মায়ের উদ্দেশ্যে সলমন ভাইপো ( Nirvaan ) বার্তা দিলেন, “আমরা তো চারজনের পরিবার। সকলের পদবী খান। কিন্তু, তুমি তো একজনের নামই পুরো মুছে দিলে। সঙ্গে খান পদবিও সরিয়ে দিলে। এটার বোধয় খুব একটা প্রয়োজন ছিল না। পদবি মুছে কোনও লাভ হবে না। কারণ দিনের শেষে তুমি যেমন খান আমরাও খান।” নেমপ্লেট থেকে বাবার নাম পদবি সরিয়ে দিলেও মনে প্রাণে নিজেকে খান বলেই মনে করে নির্বাণ।
এই গোটা বিষয়টি নিজেই জানান সীমা (Seema Sajdeh)। সেই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনের কারণও ব্যখ্যা করেন নির্বাণের মা। সীমা বলেন, “আমি আর খুব বেশিদিন এই খান পদবি ব্যবহার করব না। নির্বাণ আমি বলেছিল খান আর সচবেদ একই সঙ্গে ব্যবহার করতে। কিন্তু, আমি সেটা কী ভাবে করব। সেই জন্যই আর কোনও অপশন ছিল না। খান বা সচদেব কিছুই রাখিনি। এটা আমাদের তিনজনের সংসার। বাবার সঙ্গে ওরা সম্পর্ক রাখুক। কিন্তু, আমার তো জীবনে নিজস্বতা বলে কিছু একটা আছে। একটা সময় আমারও মনে হয় জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।”
সীমা (Seema Sajdeh) আরও বলেন, “এই মুহূর্তে আমি কোনও দিকেই যেতে পারছি না। না এদিক, না ওদিক। ইউহান আর নির্বাণের নামের শেষে খান পদবি অবশ্যই থাকবে। কিন্তু, আমার নামের শেষে নয়। আমি নিজের মতো করে বাঁচতে চাই। নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চাই। তাই আমার নামের শেষে খান পদবি রাখতে রাজি নই।”