Bouma Ekghor:কাজ গিয়ে মন খারাপ সুস্মিতার! জি থেকে স্টারে এসেই মহাবিপদে অভিনেত্রী

জি বাংলায় ছিল সে ‘অপরাজিতা’ বিডিও। স্টারে আসতেই তিন মাসের মাথায় হেরে ভূত। ধারাবাহিকে স্লট পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, কম TRP মানেই সন্ধ্যার প্রাইম টাইম থেকে সরে একেবারে রাত্রে। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ধারাবাহিকের ইতিহাসে বেনজির ঘটনা। আর সেই দুঃখেই ভেঙে পড়েছেন ধারাবাহিকের অভিনেত্রী সুস্মিতা।

বৌমা একঘর ধারাবাহিকে বৌমা টিয়া চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। দুই শাশুড়ির খুনসুটি ঝগড়া, তাদের চাকুরিরতা বৌমা চাই, এমনই এক মজার প্রোমো দিয়ে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক। কিন্তু দুদিন যেতে না যেতেই বোঝা যায় মন কাড়তে পারছে না দর্শকের। এদিকে জি বাংলার সঙ্গে স্টারের এখন জোর টক্কর। মিঠাই শুরু হওয়ার পরই জি-তে যেন লক্ষ্মী এসেছে। একের পর এক ধারাবাহিক জায়গা করে নিচ্ছে TRP তালিকায়। সন্ধ্যার স্লট টাইম থেকে সরিয়ে রাতের স্লটে কোনওরকমে জায়গা করে নিলেও শেষমেশ বৌমা একঘরের ওপর নেমে এল চ্যানেলের কোপ। সাহেবের চিঠি, এক্কা দোক্কা, এখন নবাব নন্দিনী নতুন নতুন গল্প দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জলসাকে। নতুন গল্প তাই রাতের স্লট দেওয়া যাবে না।আগামী ৮ই আগস্ট থেকে সন্ধ্যা ৬ টার স্লটে দেওয়া হল ‘নবাব নন্দিনী’ কে। গোধূলি আলাপকে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সরিয়ে রাতে দেওয়া হল ১০.৩০ টায়। আর তারফলেই ছুটির ঘন্টা বাজল ‘বৌমা একঘরের’।

একেই বলে কারোর পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ। ‘অপরাজিতা অপু’র সাফল্যের পর হঠাৎ ই কাজ হারিয়ে বেশ হতাশ বৌমা একঘরের বৌমা। তিন দিন হল শুটিং শেষ। তবু যেন বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না সুস্মিতা দে। কেরিয়ারের ওপর যথেষ্ট ছাপ পড়বে বলে মনে করছেন, কাজ করার নতুন উদ্যম খুঁজে পাচ্ছেন না।

একটি ইন্টারভিউতে সুস্মিতা জানিয়েছেন, “প্রচণ্ড মনখারাপ আমার। হঠাৎ জানতে পারলাম ধারাবাহিকটি আর দেখানো হবে না। সেই মুহূর্তে মাথায় বাজ পড়েছিল, কোনও অভিনেত্রীর কাছেই এটা অভিপ্রেত নয়। কিন্তু কোনও কিছু শুরু হলে তার শেষ হবে, এটাই তো নিয়ম। কষ্ট হলেও তাই মেনে নিয়েছি। দর্শকের কেন পছন্দ হল না সত্যিই বুঝতে পারলাম না।” অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের গলাতেও প্রায় একই সুর। দর্শক কূটকাচালি ছাড়া বোঝেন না, এই আক্ষেপ তাঁর ও রয়েছে। আপাতত কিছুদিনের বিরতি নিয়ে নতুন কাজে ফিরবেন সিরিয়ালের অভিনেত্রীরা




Back to top button