Madhumita Sarcar: পাহাড়ের কোলে দিন কাটাচ্ছেন মধুমিতা! সঙ্গে কি বিশেষ কেউ?

অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খোলমেলা জীবন আকর্ষণ করে না, এমন মানুষ খুব কম। যেমন দুহাতে রোজগার তেমনই দু’হাতে খরচ। যেখানে খুশি যাওয়ার, যা খুশি করার ম্যাজিক বোধহয় তাঁরা সকলেই জানেন। তবে যার নাম ‘পাখি’ তিনি তো উড়ে বেড়াবেন। কার কথা বলছি? আপনাদের সকলের প্রিয় ‘পাখি’ ওরফে মধুমিতা। ‘বোঝা না সে বোঝে না’ থেকেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছায় মধুমিতা। তখনই টলিউডে পা দেন অভিনেত্রী।আর এখন তিনি রয়েছেন বৃষ্টিস্নাত পাহাড়ের কোলে। কোথায় গেছেন অভিনেত্রী? কার সঙ্গেই বা গেলেন?
একটা গোটা প্রজন্ম শুধু পাহাড় ভালোবাসে আজীবন কাটিয়ে দিতে পারে। প্রকৃতির বুকে এত রঙ-বর্ণচ্ছটা নিয়ে পাহাড় দাঁড়িয়ে থাকে একলা। আর সেজন্য এই প্রজন্মের সকলেই কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে পাহাড়ের টানে ছুটে যায়। মধুমিতাও তাই বেছে নিয়েছেন উত্তরাখন্ডের সুন্দরী শহর মুসৌরিকে। সেখানেই স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। তবে জানলে আশ্চর্য হবেন। মধুমিতা গিয়েছেন একেবারে একলা। কোন সঙ্গী তার প্রয়োজন নেই। ‘ নিজেকে ভালোবাসা’র মন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন তিনি। সোলো ট্রিপের মজা নিচ্ছেন প্রাণ-ভরে।
সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত ‘কুলের আচারে’র পর একটানা লম্বা বিরতি নিয়েছেন। সাফল্যকে উপভোগ করছেন চেটেপুটে। ছবির বিষয়বস্তুর সঙ্গে মধুমিতার এই জার্নির রয়েছে অনেক মিল। একটি মেয়ের যে স্বামীর পদবির প্রয়োজন নেই। নিজের পরিচয়ে একটি মেয়ের জন্য যথেষ্ট। এই বার্তা ছিল সিনেমাতে। মধুমিতা ছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী হালদার। ইন্দ্রাণীকে মধুমিতার শাশুড়ি ও বিক্রম মধুমিতার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এসময়ে বেশ কিছুটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয় বিক্রমের সঙ্গে। যদিও এই সম্পর্ককে তারা বন্ধুত্বই বলেছেন।
মধুমিতার কেরিয়ার শুরু করেন ছোটপর্দায়। বোঝে না সে বোঝে না’র ব্যাপক সাফল্য জীবন বদলে দিয়েছে মধুমিতার। আরও বেশ কয়েকটি অভিনয় করেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘কুসুম দোলা’, ‘কেয়ার করি না’ ধারাবাহিকেও।তবে এখন ওয়েব সিরিজেও বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠছেন।‘জজমেন্ট ডে’,’ উত্তরণ’ এর মতো ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করেছেন। অসংখ্য কাজের অফার রয়েছে তার হাতে। ‘পরিবর্তন’, ‘লাভ আজ কাল পরশু’, ‘চিনি’, ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ এর মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। তাই জীবনের এই সফল সময়ে,নিজের ইচ্ছামতো পাহাড়ের কোলে আনন্দ করছেন