Anjan Chowdhury: ছিল অভাবের সংসার, নিজের গয়না বিক্রি করে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ তাঁকে ছাড়া হয়ত টালিগঞ্জের পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে যেত। দর্শক পেত না তাঁদের প্রিয় পরিচালক অঞ্জন চৌধুরিকে। কথায় আছে প্রত্যেক পুরুষের পেছনে একজন প্রেরণাদাত্রী নারী। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরির জীবনের সেই নারী হলেন জয়শ্রী চৌধুরী (Jayashree Chowdhury)। রবিবার তিনি প্রয়াত হয়েছেন জয়শ্রী দেবী। দীর্ঘদিন ধরে হাই সুগারে জর্জরিত ছিলেন। ররিবার মাল্টিপাল অরগ্যান ফেলিওরের হয়ে প্রয়াত হয়েছেন তিনি।

বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দুর্দিনে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে অনেক কিছুর সাক্ষী থেকেছেন জয়শ্রী দেবী। আসলে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয় তাঁদের। বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য দাম্পত্য জীবনের শুরুটা খুব একটা বেশি মসৃণ ছিল না তাঁদের। বেহালার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকাকালীন রায়বাহাদুর রোডে একটি প্রিন্টিং প্রেস খুলে বসেন পরিচালক অঞ্জন চৌধুরি। প্রচণ্ড অর্থ কষ্টের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছিলেন দুজনে। এমতাবস্থায়, জয়শ্রী দেবী গয়না বেচে প্রেস চালানোর তাকার যোগান দেন।

anjan 1

পরিচালকের কেরিয়ারের একের পর এক সিনেমার হিট সিনেমা ‘শঠে শঠ্যাং’, গুরু দক্ষিনা, বউ, শত্রু, নবাব, ইন্দ্রজিৎ সহ নানা ব্লকবাস্টার। সিনেমা বানানোর জন্য পরিচালক যে যে আত্মত্যাগ করেছেন তার সবটারই শরিক হয়েছেন জয়শ্রী দেবী। মেয়ে রুমকির মতে,জয়শ্রী দেবীর ছিল অসাধারণ গানের গলা। নিয়মমাফিক নাকি তালিমও দিতেন। কিন্তু কোনও দিন পর্দার সামনে আসেননি তিনি। স্বামীর নাম যশই ছিল তাঁর এক মাত্র ধ্যানধারণা।

ধীরে ধীরে পরিচালকের দুই মেয়ে চুমকি ও রুমকি সিনেমা জগতে পদার্পণ করেন। রায়বাহাদুর রোডের বাড়িটাই হয়ে ওঠে একটা আস্ত শ্যুটিং স্পট। সেখানে স্বামীর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে যাবতীয় তদারকির দায়িত্ব সাম্লেছেন জয়শ্রী দেবী নিজ হাতে। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরি আজ বাংলার এক নম্বর পরিচালক হয়ে উঠতেনই না, যদি না ২০০৭ সালে মারা যান পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। ২০২২শে চলে গেলেন জয়শ্রী দেবীও। শুধু রেখে গেলেন এক রাশ স্মৃতি। রেখে গেলেন অর্ধাঙ্গিনী হওয়ার জ্বলন্ত উদাহরণ।




Back to top button