Aparajita Adhya: হাতে-হাত রেখে পার ২৫টা বসন্ত, কেমন কাটল অপরাজিতার এত বছরের সংসার?

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ দেখতে দেখতে একসঙ্গে ২৫টা বসন্ত পার। চারজনের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটি সংসারের হাল সামলানোর অধ্যায়ে ২৫ টা বছর পার করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য ( Aparajita Adhya )। শুধু অভিনয় নয়, তার সঙ্গে সঙ্গেই নাচ- আবৃতিটাও করেন তালমিলিয়ে। চরিত্রগুলির সঙ্গে মিশে গিয়ে তাঁর সাবলীল অভিনয় তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে দর্শকমহলে।

aparajita adhya 3

আজ তাঁর বিয়ের ২৫টা বছর পূরণ হয়েছে। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন খোদ অভিনেত্রী। রাতের দিকে প্রিয়জনদের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন আপরাজিতা। বিয়ের দিনের থেকে শুরু করে রয়েছে সাম্প্রতিক ছবিও। বাড়ির গুরুজন সঙ্গে তো বটেই স্বামী অতনু হাজার সঙ্গেও বিয়ের দিনের ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। তবে ছবির ক্যাপশনে ভক্তদের সঙ্গে তাঁর আবেগগুলি শব্দবন্দী করেছেন।

aparajita adhya 1

অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আজ রাত পোহালেই কেটে গেলো, ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন। ওঠা পড়া আছে কিন্তু প্রতিঘাত নেই দিনগুলো কী ভাবে যে গেল বুঝলামই না এই বাড়িতেই বয়সে ছোট্ট একটা মেয়ে কিন্তু সম্পর্কে সবার বড় সে আজ সত্যি সত্যিই সবার বড়ই হয়ে গেল। যখন পরিবারটিতে এসে ছিলাম তখন আমায় নিয়ে আমরা ছিলাম চার জন… আজ আমরা গোটা পরিবার মিলে ১০০ জনের কিছু বেশি গুণতে নেই রোজই সংখ্যাটা বাড়ে তো তাও তো শ্বশুরমশাই আর দিদিশাশুড়ি চলে গেলেন এত তাড়াতাড়ির কি ছিল বাপু বুঝিনা।‘

aparajita adhya 2

তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনেক শিখেছি তার থেকেও বেশি পেয়েছি, পাচ্ছি পেয়ে পেয়ে বুঝছি এখন সংসারে হিরো একজন ই হয় যে পুরোটাই কাঁধে নিয়ে হাঁটে সে হলো আমার শাশুড়ি মা নিজের ভাল লাগার থেকেও আমার ভালো লাগা নিয়ে উনি সদাই চিন্তিত কি আমার ভালো লাগলো না, কি আমি খেলাম না, সারাক্ষন.. কোনো দিনই ক্লান্তি দেখলাম না…. আমি যখন বলি মা আমার জন্য তোমার খুব জ্বালা উনি বলেন লক্ষী যেখানে ঝক্কি সেখানে….. তাই তো মা লক্ষ্মী আমাদের কুল দেবী….. ভাবছেন এত কিছু বললাম বর মশাই এর ব্যাপারে কিছু তো বললাম না ২৫ বছরের বিবাহ বার্ষিকী তে। ওটা নাহয় আমার মনেই থাক আর আপনারা ভেবেই নিন যার মা এরকম তার ছেলে কেমন হতে পারে….. আমাদের আশীর্বাদ করুন আমরা যেনো সবাই মিলে এমনি হেসে খেলে থাকতে পারি….. গুরু কৃপাহি কে বলম।’




Back to top button