Sudipa-Aritra: “আমার যা পড়াশোনা রয়েছে, আমি অনেক বেশি রোজগারের ক্ষমতা রাখি…” সুদীপাকে পাল্টা তোপ অরিত্রর

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ বিগত কয়েকদিনধরেই অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ( Sudipa Chatterjee ) ফেসবুকে ( Facebook ) একটি পোস্ট ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল তুমুল বিতর্কের। পোস্টটিতে সুদীপা লিখেছিলেন, “আমি শুধু জানতে চাই একজন ডেলিভারি বয়ও ফোন না করে কেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না? ফোন করে কেন বলেন, ‘আমি আসছি আপনি গেটটা খুলুন।” তিনি আরও লেখেন, “আমি কি দারোয়ান, যে গেট খুলব?” সুদীপার এই পোস্ট দেখে রেগে জান নেটিজেনদের একাংশ। সুর চড়ান অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকও ( Aritra Dutta Banik )। ফেসবুকে সুদীপাকে নিয়ে এক লম্বা চওড়া পোস্ট করেন তিনি।

controversy 2

অভিনেতা লেখেন, “… জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা যাকে লক্ষাধিক মানুষ ফলো করেন তার কাছ থেকে এই বক্তব্য একেবারে কাম্য ছিলোনা। তাও উনি পোস্টটা ডিলিট করেছেন তবে মাথায় রাখবেন পোস্ট সরিয়ে নিলেই মন থেকে অহংকারী মানসিকতা সরে যায় না।“

এই প্রসঙ্গে, বাংলার প্রথমশ্রেণির এক সংবাদ মাধ্যমে অভিনেত্রী সুদীপা সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেন, “আমি যতদূর জানি অরিত্র যখন ছোট ছিল তখন ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালে ওর বাবা-মা’ই বলতেন ভেতরে অরিত্র আছে। আর তা ছাড়া ও কে? কী করেছে জীবনে যে ওর কথা শুনতে যাব? বড়দের সম্মান দিতে জানে না। আমরা কিন্তু কখনওই আমাদের আগের প্রজন্মের সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহসটুকু পর্যন্ত পাইনি।” এখানেই না থেকে সুদীপা আরও বলেন, “আসলে ও তো এখন কিছু কর না, তাই আমার মনে হয় আমার নামটাকে নিয়ে যদি একটু পেজটার সক্রিয়তা বাড়াতে পারে সেই কারণেই ওসব লিখেছে ও”।

তবে অভিনেত্রীর এই প্রতিক্রিয়া শুনে ক্ষিপ্ত হয়েছেন অরিত্রও। ফেসবুকের একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অরিত্র বলেন, “… আমি তো ওঁকে বা ওঁর পরিবারকে কোনও খারাপ কথা বলিনি। আমি ওঁর কথাটিকে অহংকারী বলেছি। বলেছি এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে। আমার বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউন্ট অডিটর, তাই তাঁর ছেলে অভিনয় জীবনে সফল হল নাকি হল না তা নিয়ে ওঁর অর্থনৈতিক দিয়ে কিছু যায় আসে না। দ্বিতীয়ত আপনি এখন নতুন শাড়ির কারবার করছেন আমার মায়ের বিয়ের আগে থেকে ২৫ বছরের শাড়ির দোকান আছে। আমাদের নাচের প্রতিষ্ঠান আছে, অ্যাবাকাসে প্রতিষ্ঠান আছে। আমার দাদু ইন্ডিয়ান স্ট্যাস্টিক্যাল ইনস্টিউটের প্রাক্তন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। আমার মেসো ওই একই প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক। আমার মাসিও ওখানকারই মেডিক্যাল ইনচার্জ। তাই আমি সিনেমায় কী করলাম, কী রোজগার হল তাতে সত্যি কথা বলতে আমার পরিবারের কিছু যায় আসে না।”

অরিত্র এর সঙ্গে আরও যোগ করেন, “আমার যা পড়াশোনা রয়েছে সেখানে আমি না যত রোজগার করব তার থেকে অনেক বেশি অ্যাকাডেমিক সিভির মাধ্যমে রোজগারের ক্ষমতা রাখি। কারও সম্পর্কে না জেনে তাঁর পেশা ও সামাজিক অবস্থান নিয়ে এসব বলবেন না।” সুদীপা জানিয়েছিলেন, অরিত্রের বাবা-মা ছোটবেলায় তাঁর নাম ব্যবহার করে ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে বিশেষ সহায়তা নিয়েছেন। এই বক্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন অরিত্র। একই সঙ্গে টিভিনাইন বাংলার ফোনেও অরিত্র জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই অ্যামাজনে ‘ক্র্যাশ কোর্স’ নামক এক ওয়েব সিরিজে অভিনয় ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ তাঁর হাতে রয়েছে…




Back to top button