Canning er Minu: পরিচারিকা থেকে নাকি সোজা মুখ্যমন্ত্রী, কেমন হবে ‘ক্যানিং-এর মিনু’র রাজনৈতিক যাত্রা?

সিরিয়াল মানেই মানুষ চেনে শাশুড়ি-বৌমার লড়াই, বচসা কিংবা এক পক্ষেরই দু’টো করে বিয়ে ইত্যাদি। বাংলা সিরিয়াল বলতে মানুষের মনে সবার প্রথমে ফুটে ওঠে এই কয়েকটি ধারণা। তবে আর নয়, সময় গিয়েছে বদলে। এখন সিরিয়াল বলতে শুধুই একঘেয়ে জীবন নয়, শাশুড়ি-বৌমার কোমড় বেঁধে ঝগড়া নয় কি্ংবা এক পক্ষের একাধিক বিয়ে নয়। বদলেছে সমাজ এবং বদলেছে আমাদের ভাবনা-চিন্তার দৃষ্টিভঙ্গি। আর এই নতুন সমাজের ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ‘কালার্স বাংলা’ ( Colors Bangla ) নিয়ে চলে এল এক অন্য স্বাদের ধারাবাহিক। নাম তার ‘ক্যানিং-এর মিনু’ ( Canning er Minu )। 

অন্যায়ের প্রতিবাদ থেকে সমাজের ধারা বদল – এক জোট হলে সব করাই সম্ভব, এই বার্তাকেই যেন সুস্পষ্ট করে তুলেছে মিনু। লোকাল ট্রেনে চড়ে আর পাঁচটা মানুষের মতো শহরে কাজ করতে আসা এক সাধারণ মেয়ে সে। ইতিমধ্যে নেটমাধ্যম জুড়ে বেশ ভাইরাল হয়েছে এই ধারাবাহিকের ( Canning er Minu ) প্রোমো। যেখানে দেখা গিয়েছে, দুই প্রেমিক-প্রেমিকা বিয়ে করতে চাইলে তাতে বাধা হয়ে বসে মেয়ের জাত। যার জেরে গুন্ডা মাধ্যমে তাদের আলাদা করার ব্যবস্থা করে বসে দুই পরিবার। কিন্তু, সেই মুহূর্তেই সাধারণ মানুষজনকে জোগাড় করে গুন্ডাদের হাত থেকে রক্ষা করে সেখানেই তাদের বিয়ে দেয় মিনু। এখন নব্যপ্রযুক্তির যুগ। তাই নিমিষেই ভাইরাল হয়ে পড়ে মিনুর সেই কীর্তি। 

পেশায় সে মুখ্যমন্ত্রীর ( Chief Minister ) বাড়ির পরিচারিকা। আর তাঁর সেই প্রতিবাদের ভিডিয়ো এতটাই ভাইরাল হয়ে পড়ে যে তা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।  উল্লেখ্য, শাশুড়ি-বৌমা কিংবা প্রেম নয়। এই ধারাবাহিক তুলে সাধারণের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা প্রতিটি জননেত্রীর কথা। আর মিনু যেন তাঁদেরই প্রতিচ্ছবি। সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতির ময়দানে নামা এবং সাধারণের জন্য রাজ্য কিংবা দেশের সর্বোচ্চ পদগ্রহণ এই যেন মিনু জীবনের আদর্শ। কিন্তু একটা সাধারণ জীবন থেকে রাজনৈতিক জীবন, কেমন হবে এই পথ? দিন শেষে আদেও কি একজন জননেত্রী হয়ে উঠতে পারবে সে? সকল উত্তর মিলবে কিছুদিন পরই।




Back to top button