ঘাম ঝড়িয়ে ছোট পর্দার জন্য প্রস্তুত হলেন দেব! দেখুন অভিনেতার কসরতের ভিডিয়ো

অনীশ দে, কলকাতা: বাংলা ইন্ডাস্ট্রির শেষ সুপারস্টার দেব (Dev)। একসময়ের গদ বাঁধা রিমেক ছবি ছেড়ে এখন মৌলিক গল্পে জোড় দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর কিশমিশ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে ১০০ দিন অতিক্রান্ত করল। এই নিয়ে বেজায় খুশি বাংলা ছবির ভক্তরা। এর মাধ্যমে অন্তত এইটুকু স্পষ্ট যে বাঙালি বাংলা ছবির পাশে দাড়িয়েছে। তবে দেবের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন তাঁর ভক্তরা। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ছবির জন্য চেহারায় পরিবর্তন আনার চলও তিনিই (Dev) শুরু করেন। এমনকী কোভিডের পর বাংলা ছবির প্রথম হিতের সূচনাও তাঁকে ঘিরেই।
সুপারস্টারের তকমা এখনও পর্যন্ত সঠিক ভাবে সামলে এসেছেন দীপক অধিকারী। তার সঙ্গে সামলেছেন দল, রাজনীতি। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও যথেষ্ট সফল দেব (Dev)। বড়পর্দার পাশাপাশি তিনি ছোট পর্দাতেও যথেষ্ট সক্রিয়। আর এমন নয় যে শুধু সঞ্চালনা বা বিচারকের আসনে বসে আছেন। রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয় তাঁকে। দর্শকদের কারণে নিজের সবটা নিংড়ে দেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি পোস্ট আপলোড করেন দেব। যা দেখে ভক্তরা তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
View this post on Instagram
যেখানে একদিকে তাঁর ডান্স ডান্স জুনিয়রের নাচের ভিডিয়ো এবং অন্যদিকে সেই নাচের জন্য তাকে কী কী পরিশ্রম করতে হয়েছে তার ভিডিয়ো। উল্লখ্য, এই অনুষ্ঠানে দেবের সাথে রয়েছেন আরও দু ‘ জন বিচারক, একজন তাঁর বান্ধবী অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র এবং দ্বিতীয় জন অভিনেত্রী মনামী। বলাই বাহুল্য, বাংলার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা তিনি। বাংলার তাবড় অভিনেতাদের সাথে জুটি বেঁধে কাজ করছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাছের মানুষ হোক কিংবা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রজাপতি। একের পর এক ছবিতে নতুনত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছে সে। অবশ্য ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের রাজনীতির কারণে যে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে সে কথা আগেও জানিয়েছেন দেব এবং প্রসেনজিৎ তবে তাতে কোনরকম সুরাহা হয়নি।
সম্প্রতি কিছু সাক্ষাৎকারে জিতের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। বহুদিন আগেই নিজের কমার্শিয়াল ছবির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন দেব। এখন মূলত ভালো অভিনয় এবং চিত্রনাট্যর ছবি বানানোই তাঁর লক্ষ্য। এই মুহূর্তে প্রজাপতির শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত দেব। ছবিতে তাঁর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন কনীনিকা বন্দোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, মমতা শঙ্কর ,খরাজ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্প্রতি ছবির শ্যুটিং সারতে তিনি পৌঁছেছিলেন বেনারস। বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজোও দেন তিনি।