Mithai: বউ অসুস্থ হতেই ভেঙেছে সব অভিমান! ভরপুর রোম্যান্সে নিজেই মিঠাইকে পোশাক পরাল সিড

ওমির গুলি খেয়ে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছিল মিঠাই ( Mithai ) কে। তৎপরতার সঙ্গে ভর্তি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে ( Hospital )। শেষমেশ গুলি খেয়েই কি মরে যাবেন নায়িকা? এমন হলে তো ধারাবাহিকেও ঘোষণা হবে যুদ্ধ শেষের শঙ্খ। অর্থাৎ, গল্প হবে শেষ? এমনটা হলে তো বড়ই সমস্যায় পড়বেন মিঠাই অনুরাগীরা ( Mithai Fans )। কিন্তু এই সবই আদতেই জল্পনা। শেষ হয়নি মিঠাই। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। মিঠাইরানি স্বাগত জানাতেও কোনওরকম খামতি রাখেনি হল্লা পার্টি তথা উচ্ছেবাবু। 

তবে খুশির আমেজেই যেন বিপদের কালো মেঘের ঘনঘটা মোদক পরিবারের আকাশে। ‘মিঠাই’য়ের সাম্প্রতিক এপিসোড নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড তৈরি হয়েছে নেটপাড়ায়। মিঠাই অনুরাগীদের মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঝামেলা। আসলে সিরিয়ালকে মানুষের মনে ধরে রাখতে একের পর এক নতুন চমক দিয়েছেন ধারাবাহিক নির্মাতারা। শুরু দেড় বছর পার করেও এই ভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা কোনও ভাবেই মুখের কথা নয়। 

সময়ের সঙ্গে মান-অভিমান কাটিয়ে বউয়ের প্রতি অনেকটাই যত্নশীল হয়ে উঠেছে সিদ্ধার্থ। এদিন হাসপাতাল থেকে ফিরতেই নতুন রূপে মিঠাইকে আগমন জানায় হল্লা পার্টি। এরপর অসুস্থ মিঠাইয়ের যত্ন নিতেই একেবারে এক ধাপ এগিয়ে যায় উচ্ছেবাবু। যেখানে দেখা যায়, স্ত্রী-কে ঘুমানোর আগে নাইট স্যুট পরিয়ে দিচ্ছেন সিদ্ধার্থ। মিঠাই  এখনও সঠিক ভাবে হাত-পা নাড়াতে পারছে না। তাই স্ত্রীয়ের পাশে দাঁড়াতেই তাঁকে পোশাক পরিয়ে দিয়েছেন সিডি বয়। শাড়ি বদলে হাত কাটা নাইট স্যুটে মিঠাইকে দেখে চোখ কপালে ওঠে অনেকেরই। 

উল্লেখ্য, এই নাইট স্যুট পরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে অবশ্য ক্ষোভ মিঠাই হেটার্সদের মনে। তাঁরা বলছেন, “মিঠাই তো দুপুর ঠাকুরপো হয়ে যাচ্ছে, ফ্যামিলির সঙ্গে বসে আর দেখা যাবে না।” আর এতেই ফুঁসে উঠেছেন ভক্তরা। একজন লিখেছেন, “মিঠাইয়ের নাইট ড্রেস দেখে ট্রোল করার কারণটা বুঝতে  পারছি না। ওর হাতে ব্যান্ডেজ। তাই সিড ওকে হাতকাটা নাইট ড্রেস পরিয়ে দিয়েছে। সে নিজেও মিঠাইয়ের সঙ্গে এখন যথেষ্ট সহজ। তাই স্বামী হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করেছেন তিনি।”

প্রসঙ্গত, মিঠাইয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে সিদ্ধার্থ। স্ত্রীয়ের প্রতি অনেকটাই কর্তব্যপরায়ণ হয়েছে সে। কেটেছে সকল প্রকার  মান-অভিমান। মিঠাই কোমায় যেতেই একেবারে আকাশ ভেঙে পড়েছিল সিডের মাথায়। স্ত্রী-কে সুস্থ করতে প্রাণপাত করে দেয় সে। 




Back to top button