Ichchenodi: রোম্যান্স ছিল মাখো-মাখো, ‛ইচ্ছেনদীর’ মেঘলা-অনুরাগের ভরপুর প্রেম আজও হার মানাবে সিড-মিঠাইদের

বাঙালি বড্ড নস্টালজিক। একবার যাকে ভালোবেসে ফেলে, মনের মণিকোঠায় তাকে কালজয়ী করে রাখে। আজও যেমন মহানায়ক-মহানায়িকা প্রশ্নে উত্তম-সুচিত্রাতে সম্মতি দেয় আম-বাঙালি। ঠিক তেমনই মাত্রায় কম হলেও, কিছু ধারাবাহিক স্মৃতির উজ্জ্বল আলোকে ঝকঝকে হয়ে থাকে চিরকাল।
সালটা ২০১৫,জলসার ( Star Jalsha ) পর্দায় দেখা গেল একটি সুন্দর নারীকে।সৌন্দর্য তার রূপে নয়, চোখের দীপ্তিতে আর শান্ত স্থির অচঞ্চল স্বভাবে। কে তিনি? আজকের সোলাঙ্কি রায়। আজ থেকে সাত বছর আগে সকলেই তাকে ইচ্ছেনদী’র ( Ichchenodi ) ‘মেঘলা’ নামেই চিনত। সেসময় অনুরাগ-মেঘলার মতো জনপ্রিয় জুটি আর দুটি ছিল না। মেঘলার চরিত্রে অভিনয় করতে করতে একাত্ম হয়ে যেতেন সোলাঙ্কি। সেদিন পরিচালক বুঝেছিলেন, ‘ মেয়েটি লম্বা রেসের ঘোড়া।’
মিষ্টি মুখের মেয়েটির বাচনভঙ্গিতে মিষ্টত্ব ছিল না সেঅর্থে। টি আর পির জন্য নকল বা অতিনাটকীয় ভাব ভঙ্গীমাও ছিল না তার। ‘মেঘলা সেন’ একটি নিষ্পাপ দৃঢ়চেতা মেয়ের গল্প। তবে সেসময় চর্চার কেন্দ্রে ছিল অনুরাগ মেঘলার রোমান্স। দুজনে কাছাকাছি এলেই যেন প্রেমের হাওয়া বইত চারিদিকে। কখনও রাগ-কখনও অভিমান, কখনও মিষ্টি বন্ধুত্ব আবার কখনও দাম্পত্য প্রেম। পলকে পলকে বদলাত রঙ। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলত দুর্দান্ত লাজুক দৃষ্টি থেকে নানা ধরনের মুখাভিনয়। শুধু অনস্ক্রিন নয়, অফ স্ক্রিনেও বিক্রম-সোলাঙ্কির বন্ধুত্ব ছিল চর্চিত। সাত বছর পরেও সেই বন্ধুত্ব অটুট আছে।
বর্তমানে সোলাঙ্কি ওরফে মেঘলাকে দেখা যাচ্ছে জলসার পর্দায় খড়ির চরিত্রে। বিপরীতে রয়েছেন ঋদ্ধিমান ওরফে গৌরব চট্টোপাধ্যায়। কাহিনী পর্বে বিপরীত মেরুর দুই মানুষ খড়ি-ঋদ্ধির মধ্যে খুনসুটি প্রেম থাকলেও। মেঘলা ম্যাজিক যেন কাজ করছে না খড়ির মধ্যে। অনুরাগ – মেঘলার যে রোমান্সে মজেছিল আমজনতা আজ সেই রসায়ন মিলতে গিয়েও মিলছে না। এদিকে বাঙালি দর্শক পেয়েছে আরও এক রোমান্টিক জুটিকে। কার কথা বলছি? মিঠাই -সিড ( Mithai ) । যখন তাদের মধ্যে প্রেমের রসায়ন থাক, এসব ব্যাপারে বাজিমাৎ আগেই করেছে অনুরাগ-মেঘলা। তাদের কোনও বিকল্প নেই। কোনও অতিনাটকীয়তা নকল করা বা লোক দেখানো প্রেম নয়, সম্পর্কের বয়ান দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের মানসিকতা এসব কিছুতেই মিঠাইকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। এমনকী বর্তমানে মিঠাই-সিডের রোম্যান্স কে ‘ন্যাকা রোমান্স’ বলেন সমালোচকরা। এজন্য অনুরাগ-মেঘলার প্রেমের দৃশ্যে দুর্দান্ত অভিনয়কে অস্বীকার করতে পারে এমন কেউ নেই।