দুর্নীতির বেড়াজালে লিপ্ত মোদক পরিবার, ফের কি তবে পুলিশ হানা দিতে চলেছে মনোহরায়?

অনীশ দে, কলকাতা: একের পর এক বিপত্তি কাটিয়েও সুরাহা পাচ্ছে না মিঠাই (Mithai)। কোনও না কোনও অভিযোগ যেন লেগেই আছে। ওমি আগরওয়ালের রোষের মুখে আগেই পড়েছে মোদক পরিবার। তবে এইবার সে যেন সমস্ত সীমা অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। সে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল মিঠাই সহ গোটা মোদক পরিবারকে। তবে শেষমেশ নিজেরই প্রাণ ত্যাগ করতে হলো ওমিকে। তবে এখানেই শেষ নয়। ওমির মৃত্যুর বদলা নিতে হাজির হন তাঁর দাদা আদিত্য আগরওয়াল। অন্যদিকে মিঠাইয়ের (Mithai) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন কাউন্সিলর প্রমীলা লাহা। তবে এবার মোদক পরিবারের সব শত্রু যেন এক ছাদের তলায়।
ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নিতে কাউন্সিলর প্রমীলা লাহার শরণাপন্ন হয়েছেন আদিত্য আগরওয়াল। আর প্রমীলা তাতে সম্মতি জানান। প্রথমে মোদক বাড়িতে প্রোমোটার পাঠিয়ে বাড়ি বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তা একেবারেই ধোপে টেকেনি। সিদ্ধেশ্বরকে একটা ফ্ল্যাট ও টাকার লোভ দেখালে সে তা নাকচ করে দেন। যখন সোজা আঙ্গুলে ঘী ওঠেনি তখন অন্য পন্থা অবলম্বন করার পরিকল্পনা করে কাউন্সিলর প্রমীলা। মিঠাইয়ের (Mithai) মিষ্টির দোকানে গুন্ডা পাঠিয়ে তাঁকে জব্দ করতে চায় সে। তবে মিঠাই (Mithai) উল্টে সেই গুন্ডাদের জব্দ করে দেয়।
কিন্তু প্রমীলা যে এত সহজে থেমে যাওয়ার পাত্রী নন, তা দর্শক আগে থেকেই জানত। চুপিসারে মনোহরাতে সোনার বার লুকিয়ে রাখে প্রমীলার লোকজন। আর তারপর নিজেই পুলিশে খবর দেন মাননীয় কাউন্সিলর। আর পুলিশ পৌঁছাতেই বিপত্তি। মোদক পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। মিষ্টির ব্যবসার আড়ালে বেআইনি কাজকর্ম চলছে বলে দাবি করেন পুলিশ কর্তা। এমনকি মনোহরার আশেপাশে অচেনা লোকজনদের ঘুরে বেড়াতে দেখেন পুলিশ কর্তা। আর সেই কথা জানতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মিঠাইয়ের। একদিকে মানসম্মান নিয়ে টানাটানি অন্যদিকে প্রাণের ভয়। কীভাবে দু’দিকই সামলাবে মিঠাই?
অবশ্য এহেন পরিস্থিতিতে বাড়ি বিক্রির পক্ষেই আছে তোর্সা ও শ্রীলতা। কিন্তু মিঠাই যে এত সহজে হার মানবে না তা সে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এখন দেখার অপেক্ষা আদিত্য নিজের পরিকল্পনা সফলতা পায় কি না? আগের সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় সামান্য পিছিয়ে পড়লেও এই সপ্তাহে আবার ৮.১ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মিঠাই। অন্যদিকে গৌরি এলো সবাইকে চমকে ৮.২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে।