Konineeca Banerjee: সমাজের বাঁধ ভেঙে সমুদ্র সৈকতে বিকিনিতে কণীনিকা! ‘বাপরে বাপ!’ বলে কটাক্ষ নেটিজেনদের

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ এখন ৮ থেকে ৮০ দেশের প্রতিটি মানুষের হাতেই স্মার্টফোন। তার সঙ্গে সস্তার ইন্টারনেট। অন্যদিকে দেশের কর্মসংস্থান নৈব নৈব চ। তাই এই ৮ থেকে ৮০ সকলের আনাগোনা বেড়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সেলিব্রিটিদের পোস্টে অশালীন কমেন্ট পড়লে মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। শুধু অশালীন কমেন্টেই আটকে নেই! তাল মিলিয়ে বাড়ছে সেলিব্রিটিদের বডি শেমিং, ব্যক্তিগত আক্রমন, রেপ থ্রেটের মত বিষয়গুলি। এদের একাংশ মনে করেন তার পরিপ্রেক্ষিতে সেলিব্রিটিরা কিছু বলবেন না।
কিন্ত এবার সে বাঁধ ভাঙলেন অভিনেত্রী কণীনিকা ব্যানার্জি ( Konineeca Banerjee )। স্টার জলসার ‘আয়ে তবে সহচরী’-র সহচরীকে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেখা যাচ্ছিল না ধারাবাহিকে। কারণ, তিনি এই মুহূর্তে বান্ধবীদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ব্যস্ত উড়িষ্যার গোপালপুরের সমুদ্র সৈকতে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও শেয়ার করেন তিনি। আর তারপই কটাক্ষের শিকার। নায়িকা ও তাঁর বান্ধবীদের সুইমিং কস্টিউমে দেখে ধেয়ে এসেছে কুরুচিকর মন্তব্যের ঝর।
এক নেটনাগরিক লিখেছেন, “বাপরে বাপ! এখানে এক সঙ্গে কয়টা জলহস্তী দাঁড়িয়ে আছে।“ আরেকজন লিখেছেন, “ওমাগো!!এক একজন তো রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা খাম্বা। পা তো নয় যেন কলাগাছের থোড়া। কি আক্কেলে এমন পোজে দাঁড়ায়!!” দুর্ভাগ্যের বিষয় প্রতিটি কমেন্টই কোন না কোন মহিলার। অর্থাৎ, বাংলার সেই পুরাতন প্রবাদ বাক্য “মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু।“
আরেক নেটনাগরিক আবার মন্ত্যব্য করেছেন, “এক সঙ্গে অনেকগুলো হাতি।“ এই ব্যাক্তির মন্তব্যে কনীনিকার সপাট উত্তর, “তোদের তৈরি মেয়েরা পন্য দ্রব্য নাকি রে! পড়াশোনাতো পেটে নেই! তুই তাহলে পিঁপড়ার, পায়ের তলায় আসেনা যেন।“
অবশ্য বেশ কিছু নেটিজেন কনীনিকাকে সমর্থন করে বলেছেন সমুদ্র সৈকতে কেউ শারী পড়েন না। ২০২২শে দাঁড়িয়ে মেয়েরা এখনও বডি শেমিংয়ের শিকার। মানুষকে আজও তাঁরা বিচার করে গায়ের রং ও বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে। কোথায় দাঁড়িয়ে আছি আমরা? এভাবে কি সমাজ আধেও বদলাবে?