Sriparna Roy: “কালো হওয়া চলবে না”, ‘কড়ি খেলা’র শ্রীপর্ণার মনের মানুষের সঙ্গে মিলছে কি আপনার বৈশিষ্ট্য?

ঠোঁটের কোণে সর্বদা লেগে থাকা একটা মিষ্টি হাসি। অপুরূপ সুন্দরী সে। বলা বাহুল্য, টলিপাড়ার (Tollywood) প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে সেও একজন। গত কয়েকমাস আগেই ‘কড়ি খেলায়’ (Kori Khela) অসাধারণ অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জিতে ছিলেন শ্রীপর্ণা রায় (Sriparna Roy)। অনেকে অবশ্য তাঁকে চেনে ধারাবাহিকের সেই মিষ্টি পারমিতা’র নামেই। মন গলিয়ে দেওয়া মিষ্টি হাসি, দৃষ্টির মধ্যে আলাদাই মধুরতা তাঁর প্রতি প্রেম জাগাতে বাধ্য করবে যে কারওর মনকেই।
তবে অভিনেত্রীর (Sriparna Roy) প্রেমে হাজার জন ডুব দিলেও, তাঁর রয়েছে নিজস্ব পছন্দ। থাকতে হবে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তবেই নাকি খুলবে মনের দরজা। কিছু মাস আগেই দিদি নম্বর ওয়ানের (Didi No.1) মঞ্চে এসে নিজের এই সকল দাবির কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মনের মানুষের চেহারা কেমন হওয়া উচিত, রাখঢাক না করেই খুলে বলেছিলেন নিজের মনের কথা। বলেছিলেন, লম্বা হতে হবে, সুদর্শন হতে হবে, কালো হওয়া চলবে না।
তবে এখানেই শেষ নয়, যদি এই তিন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আপনার চেহারা মিলেও যায় তাতে বিশেষ আনন্দের কিছু নেই। কারণ, এই তালিকা যে এখনও শেষ হয়নি। তিনি জানিয়েছিলেন, একজন পরিণত মনস্ক জীবনসঙ্গীর স্বপ্ন দেখেন অভিনেত্রী। তিনি চান, সেই মানুষটির সকল পরামর্শেই তাঁর জীবনে আসা মুশকিলগুলো আসান হবে। তবে এই বলেই টলি সুন্দরী ফেলে দেন একটি শর্ত। সাফ জানিয়ে দেন, যতই প্রেম, ভালোবাসা থাকুক, ঘুমানোর সময় নাক ডাকা তাতেও বরদাস্ত করবেন না তিনি। প্রকাশ্যে মঞ্চে পারমিতার এই শর্তের কথা শুনেই হাসি ফুটে ওঠে সকলের ঠোঁটে।
উল্লেখ্য, শৈশবেই নিজের মা’কে হারিয়ে ফেলেন শ্রীপর্ণা। তারপর থেকে বাবার সঙ্গেই পথচলা শুরু। সন্তানের প্রতি একটা বাবার দায়িত্বের পাশাপাশি, মা’য়ের দায়িত্বগুলিও নিজের বাবার মধ্যে ফুটে উঠতে দেখেছে সে। সেই কারণে বাবাকে কোনও মতেই কাছছাড়া করতে চান না অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গেই তিনি জানান, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। যে ছেলে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবে তাঁকে আমার বাড়িতেই থাকতে হবে।’
মূলত, জি বাংলা ‘কড়ি খেলা’র সুবাদে জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী। গত এপ্রিলেই শেষ হয়ে যায় এই ধারাবাহিক। তারপর তাঁকে সুদিপার রান্নাঘরেও দেখা যায়। এছাড়াও, গতবছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টনিক’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন শ্রীপর্ণা।