Mithai Latest Serial Update: মুখময় দাড়ি, পরনে সাদা পাঞ্জাবি! মৃত্যুর পর মোদক পরিবারে এ কোন রূপে হাজির ওমি?

অন্যায়ের দমন যেন এতটাও সহজ নয়। আগে থেকেই সন্দেহ ছিল মারা যায়নি ওমি ( Omi Agarwal )। বহাল তবিয়তেই বেঁচে আছে সে। মোদক পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার নতুন কোনও ছক কষছে সে। এর আগে জেল পালিয়ে ভিখারির সাজে সিদ্ধার্থের কাছে এসেছিল ওমি।  সফল ভাবেই সকলের চোখে ধুলো দিয়েছিল সে। আর এবারও সেই একই পন্থা। তবে  বদলেছে সাজ। 

এক মুখ সাদা চাপ দাড়ি, মোটা ফ্রেমের চশমা, গায়ে সাদা-মাটা পাঞ্জাবি। অমরেশ মাস্টারমশাইয়ের ছেলে মণীন্দ্রর ছদ্মবেশে মনোহরায় সকাল সকাল হাজির হয়েছে সে। প্রৌঢ়ের সাজে ওমিকে একেবারে চেনা যায় না। ফলত মোদক পরিবারের ( Mithai Family ) কেউই  চিনতে পারেনি তাঁকে। অমরেশের কাছে নিজের মণীন্দ্র এসে পরিচয় দেওয়া একেবার অতিথি আপ্যায়নে মেতে ওঠে মিঠাইরা। 

অমরেশের ছোটবেলার একাধিক তথ্য আগেভাগে ফন্দি এঁটে জেনে নেয় ওমি। আর সেই গল্পগুলিকেই কাজে  লাগিয়েই একেবারে মনোহরার প্রতিটা মানুষের মনে জায়গা করার চেষ্টা করে নেয় সে। জানায়, তার বাবা অমরেশের মৃত্যুর পর সে একেবারে অসহায়। এমতাবস্থায়, কোথায় যাওয়ার জায়গা নেই দেখেই মোদক পরিবারের কাছে আশ্রয়ে চলে আসে। ছেলের বাল্যকালের বন্ধু ভেবে তাঁকে মনোহরায় আশ্রয় দেয় সিদ্ধেশ্বর। 

mithai agarwal

তবে বাড়ির মধ্যে চলতে থাকা প্রতিটি ঘটনায়  অন্য সমীকরণ অনুভব করতে পারে সিদ্ধার্থ। ওমির হটাৎ মৃত্যু এবং তারপরই মণীন্দ্রের আগমন সব কিছুই সন্দেহজনক লাগতে শুরু হয় তার কাছে। এমতাবস্থায় নিজের মনের মধ্যে চলতে থাকা এই দ্বন্দ্বের কথা দাদুর কাছে গিয়ে সে জানায়। কিন্তু সিদ্ধেশ্বর যে তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। তার দাবি, শুধুমাত্র সন্দেহের আধারে বাড়ির অতিথিকে কখনই ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। 

রুদ্রর সঙ্গেই ওমির দুর্ঘটনাস্থলে যান সিদ্ধার্থ। আসলে ঠিক কী হয়েছে, তা বোঝার জন্য। কিন্তু সব কিছুই যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ, দুর্ঘটনায় একেবারে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় তার দেহ। চেনার কোনওরকমই উপায় থাকে না। তবে মধ্যে দিয়েও ওমির বাবা  এবং বোন মৃতদেহ শনাক্ত করেছিল ঠিকই। কিন্ত তাতেও স্বস্তি পায় না সিদ্ধার্থ। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে শেষমেশ  সিদ্ধার্থের সন্দেহই ঠিক প্রমাণিত হয়। মিঠাই-সিডের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নতুন রূপ ধারণ করে ওমি।




Back to top button