Mithai serial latest update: ‛মনোহরা’য় বিপদ রুখতে এগিয়ে মিঠাই-সিড! কান পেতে পরিকল্পনা শুনে নীল ছদ্মবেশী ওমি

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ অবশেষে উচ্ছেবাবুর সন্দেহই ঠিক! মারা জাননি ওমি আগ্রবাল। বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে সে! এমনকি তাঁর শত্রুদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার ফন্দি আঁটছে মাথায়। ইতিপূর্বে জেল পালিয়ে ভিখিরির বেশে সিদ্ধার্থের সামনে এসেছিল। সবার চোখে ধুলো দিতেও সক্ষম হয় সে। এবারও সেই পথই অবলম্বন করলো সে। সাজ বদলে ফেলে অমরেশের মাস্টারমশাইয়ের ছেলে মণীন্দ্রর ছদ্মবেশ নিয়েছে সে।

এক গাল ভর্তি কাঁচাপাকা দাঁড়ি, পরনে সাদা-মাটা পাঞ্জাবি বা মোটা ফ্রেমের চশমা দেখলে বোঝার উপায় নেই এই সেই হ্যান্ডসাম অমি! ছদ্মবেশ ধরে সে প্রথমেই আসে মদক বাড়িতে। প্রথমে তাঁকে কেউ চিনতে না পারলেও, পরিচয় পাওয়ার পর অতিথি আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখেননি মোদক পরিবারের সদস্যরা। বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠার জন্য অমি অমরেশের ছোটবেলার কিছু তথ্যও জোগার করে। তা মোদক পরিবারের সবার সামনে উগরে জানায়, বাবার মৃত্যুর পর সে খুব অসহায়। তাই তাঁদের কাছে আসা।

mithai today.jpg 1

ব্যস অবিশ্বাসের আর জায়গাই থাকে না। ছেলের বাল্য বন্ধুকে তাঁদের সঙ্গেই থাকার ব্যবস্থা করে দেন সিদ্ধেস্বর।তবে ওমির মোদক বাড়িতে থাকা শুরু করার পরই শুরু হয় নতুন চমক! আড়ি পেতে শুনে ফেলে সিদ্ধার্থ, মিঠাই ও ইন্সপেক্টরের কথোপকথন। একাধারে উচ্ছেবাবু মেলাতে পারছে না। মনীন্দ্রের আকস্বিক আগমন তাঁর কাছে বড় সন্ধিহান। তবে সে কথা দাদুকে জানাতেই, সিদ্ধেশ্বর বলেন শুধুমাত্র সন্দেহের উপর ভিত্তি করে অতিথিকে ফিরিয়ে দেওয়া যায়না।

mithai today.jpg 1234

কিন্ত ওমির যে মৃতদেহ উচ্ছেবাবু দেখেছিলেন তা দেখে চেনার উপায় ছিল না। সারা মুখ ক্ষত-বিক্ষত ছিল ওমির। তাঁর বাবা মৃতদেহ শনাক্ত করেছিল ঠিকই, কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন শান্তি পায় না সিদ্ধার্থ। শেষমেষ উচ্ছেবাবুর সন্দেহই সত্য প্রমাণিত হয়। তবে কি শেষমেশ ‘মনোহরা’য় থেকেই মিঠাইয়ের ক্ষতি করবে ওমি? নাকি তার আগেই ধরা পড়বে সে? এই মুহূর্তে এইটাই সবচেয়ে বড় সাসপেন্স।




Back to top button