Prosenjit Chatterjee: “দেড় বছর ঘরবন্দি! ফ্ল্যাটের দরজাও খুলিনি”, দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এ কী হাল হয়েছিল বুম্বাদার?

প্রেম, বিবাহ, বিচ্ছেদ সবসময় এক অদৃশ্য সুতোর টানে গাঁথা। যার দুই প্রান্ত দুইটি মানুষের হাতে থাকে। একজন আলগা দিলেই সুতো সমেত মানুষটি উধাও। টলিউডে যাকে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলে জানে সকলে। যার ছবি বাংলার ঘরে ঘরে। আজও যাকে রঙিন হিরো বলে জানে সকলে । সেই রঙিন মানুষ প্রসেনজিৎ-এর জীবনের কাছের মানুষটি কে?সেই প্রশ্নে উত্তাল টলিউড।

সম্প্রতি বাংলার দুই সুপারস্টার দেব ও প্রসেনজিৎ শুরু করেছেন অভিনব প্রচার পদ্ধতি। তাদের কাছের ছবি ‘কাছের মানুষের’ প্রমোশনের জন্য হঠাৎ পেশাই বদলে ফেলেছেন প্রসেনজিৎ। অভিনেতা থেকে তিনি একেবারে স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান। দেবের সদিচ্ছায় হচ্ছে এসব। প্রসেনজিৎকে দিয়ে কমেডি করালে তবে মানুষ নেবে। এবং কমেডির বিষয় হিসেবে উঠেছে বুম্বাদার ধুলো জমা অতীত! চারটে থুরি তিনটে বিয়ের কারণ টা একটা মজার বিষয় হিসেবে তুলে ধরতে হবে মানুষের কাছে। আর সেজন্য ছবির প্রচারে একেবারে তৈরি হয়ে ময়দানে নামছেন অভিনেতা।

নয়ের দশকের গোড়ার দিকে প্রেমের বন্যা হয়েছিল বাংলা ছবির জগতে। একের পর এক হিট দিচ্ছেন প্রসেনজিৎ। এসময় একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ। হঠাৎই ভালোবেসে ফেলা দেবশ্রী রায়কে। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন প্রসেনজিৎ এবং দেবশ্রী রায়। কিন্তু অল্প বয়সের সিদ্ধান্তে বিয়ে, সে সম্পর্ক অচিরেই ভাঙন ধরে। আলাদা হয়ে যান তাঁরা। গড়গড় করে মঞ্চের ওপর অবলীলায় বলে যাচ্ছেন প্রথম বিয়ে ভাঙার কথা। কোনো জড়তা নেই তার। আগাগোড়াই মুখে কুলুপ এঁটেছেন এই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে এ বার ব্যতিক্রম। দর্শক আসনে বসে থাকা টলিউডের বাকি অভিনেতা অভিনেত্রী দেব, ইশা সাহা, পথিকৃৎ বসু, ঋষভ বসু, অভিজিৎ গুহ এবং সুদেষ্ণা রায়দের সামনে মেলে ধরলেন নিজের অব্যক্ত অতীত।

বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়টা ঠিক কতটা কঠিন? এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘তিনটে বিয়ের মধ্যে যেটা প্রথম, মানে ছোটবেলার সম্পর্ক, সেটা যখন ভেঙে যায় আমি দেড় বছর বাড়ি থেকে বেরইনি। মানে আমার ফ্ল্যাটের দরজা খুলিনি’। একঝটকায় শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও, অভিনেতা বলেন এর সাক্ষী এক ‘কাছের মানুষ’। তিনি পরিচালক অভিজিৎ। তিনি পাশে থেকে মনের জোর দিয়েছিলেন বলে জানান। এবং সেই জোরেই খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে আসেন প্রসেনজিৎ। কথায় আছে ‘সো মাস্ট গো অন’। জীবন থেমে থাকে না। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাই করলেন। অভিনেতা বলেন, ‘এর পর বেরিয়ে পড়েছিলাম। আর বিশ্বাস করুন যে দিন সেটে এসেছিলাম, তার তিন দিনের মধ্যে ন’টি ছবি সই করেছিলাম। এটাই জীবন। এটাই সত্য।’ বহু বছর গড়ালেও প্রসেনজিৎ য়ের বিয়ে নিয়ে মানুষজনের কৌতুহলের শেষ নেই। তাদের জল্পনা আরও উসকে দিলেন অভিনেতা।




Back to top button