Rachna-Prosenjit: “লোকের সামনেও ওকে আদর করতে পারি”, রচনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে এ কী বললেন বুম্বাদা?

বাংলা সিনেমার এক নম্বর হিরো। টলিউডে একডাকে চেনেন সকলে। নামে-বদনামে টানা চল্লিশ বছর রাজত্ব করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। টলিউডকে যিনি অনায়াসে বলেন ‘আমিই ইন্ডাস্ট্রি’। তিনি আর কেউ নন, সকলের প্রিয় বুম্বা দা। সেই বুম্বা দার সঙ্গে বাংলার দিদি নম্বর ওয়ানের হৃদ্যতা কেমন তা অনেকেরই জানা। নব্বইয়ের দশকে একাধিক ছবি করেছেন দুজনে একসঙ্গে। দাদার রাজত্ব অবিকল এক থাকলেও, টলিউডে আজ অমিল রচনা ব্যানার্জি। তবে জনপ্রিয়তায় ভাটা পরেনি। বরং রিয়েলিটি শো দিয়েই মানুষের মনের অভ্যন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন রচনা ব্যানার্জি। বহুদিন একসঙ্গে কাজ না করলেও প্রসেনজিৎ রচনার বন্ধুত্ব আজও অটুট।
তাদের অমলিন বন্ধুত্বের সাক্ষী থাকেন অগনিত দর্শক। রচনা- প্রসেনজিৎয়ের জুটি আজও পছন্দ করেন মানুষ। পঁয়ত্রিশটারও বেশি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। তবে প্রোমোশন সূত্রে গত জুন মাসেই দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে শেষবার এসেছিলেন প্রসেনজিৎ। ‘আয় খুকু আয়’ সিনেমার প্রচারে হাজির হয়েছিলেন বুম্বাদা। তখনই সদ্য পিতৃহারা হয়েছিলেন অভিনেত্রী।দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রসেনজিৎয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগে চোখে জল এসেছিল রচনার। সেটের মধ্যেই বাবার প্রসঙ্গ উঠতে কান্নায় ভেঙে পরেছিলেন রচনা। শোকগ্রস্ত রচনাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ, চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে দুজনের রসায়ন মন কেড়েছিল দর্শকের। সেদিনই বোঝা গিয়েছিল আজও কত প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে প্রসেনজিৎ রচনা জুটির।
এরপরই তারা আবার সামনে এলেন এক নতুন ফটোশ্যুটে। এক নামী সংবাদপত্রের পুজো স্পেশাল শ্যুটে ক্যামেরার মুখোমুখি হলেন রচনা ও বুম্বা দা। এদিন একেবারে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করলেন রচনা। রসিকতার ছলে হলেও জানালেন, ‘বুম্বা দা একা থাকলে বিয়ে করতে চাইতাম’। এতে প্রসেনজিৎ শুনে খুশিতে ডগমগ হয়ে জানালেন, ‘শুনেই ব্লাশ করছি’। এরপরই রচনাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘লোকের সামনেও ওকে আমি এইভাবে আদর করতে পারি।’ এবারে লজ্জা পেয়ে গেলেন রচনা। একেবারে গলায় গলায় বন্ধুত্ব তাদের।
রচনার কথা এর আগেও শুনেছি। প্রসেনজিৎকে যে তিনি পছন্দ করেন একথা বারংবার সামনে এসেছে। জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো, অপুর সংসারে বলেছিলেন রচনা যে প্রায় পঁয়ত্রিশ, চল্লিশটা সিনেমা করার পর ও কি বুম্বা দা’র মনে হল না, রচনার সঙ্গে প্রেম করা যায়। প্রেমিক মানুষ তো তিনি! কিন্তু রচনাকে কোনদিন সেভাবে কিছু বললেন না। একী নিছকই মজা, নাকি মনের গভীরে আজও কোন আক্ষেপ রয়ে গেছে রচনা ব্যানার্জির।