Ranjit Mallick: সততাই যার মাত্র পরিচয়! দুষ্টের দমনে চল্লিশ বছর পর পর্দায় ফিরছেন ‘শুভঙ্কর সান্যাল’

কলকাতার ( Kolkata ) ট্রামে চড়ে সেই বিখ্যাত শ্যুটিং কিংবা সিনেমার সৎ পুলিশ কর্তা। যার চোখ সহ্য করে না কোনও রকম অপরাধ। কোনও বাড়াবাড়ি দেখলেই মাঝ সড়কে কোমরের বেল্টের বাড়িতেই অপরাধী শায়েস্তা। মানুষ তাঁকে চেনে রঞ্জিত মল্লিক ( Ranjit Mallick ) নামে। এককালে যাঁকে ছাড়া চলত না বাংলার কোনও ছবি। নিজের দক্ষ অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই মানুষের মনে বিরাট প্রভাব ফেলেছিলেন এই তারকা।
মনে পড়ে তাঁর সেই ‛শত্রু’ সিনেমার কথা? প্রায় চল্লিশ বছর আগের কথা। রবিবারের বেলায় সিনেমার হলে প্রচুর লাইন, শোনা গেল পর্দায় নাকি আজ রঞ্জিত মল্লিকের ‛শত্রু’ চলছে। জনসমদ্রের ঢেউও যেন আছড়ে পড়ল সিনেমার হলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ শুভঙ্কর সান্যাল। পেশায় পুলিশ অফিসার। অন্যায়ের বিরুদ্ধেই গর্জে ওঠাই যাঁর ধর্ম। সত্যের পালন ও দুষ্টের দমনেই দর্শক মনে তৈরি জায়গা।
চল্লিশ বছর আগের সেই ‛শুভঙ্কর সান্যাল’ ফের ফিরতো চলেছে বড় পর্দায়। তবে এবার আর পুলিশ নয়! ফিরবেন নাকি আইনজীবী হয়ে। ছবির নাম ‛অপরাজেয়’। শ্যাম দাগের কাহিনী ও প্রযোজনায় মোজাটেইল এন্টারটেইনমেন্ট ও দিব্যা ফিল্মসের এই ছবি মুক্তি পাবে পুজোর আগেই। চল্লিশ বছর আগে ঠিক যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে গিয়েছেন তিনি, এবারেও সেই পুরনো নীতি বাদ যাবে না। কোমর থেকে বেল্ট খুলে অপরাধীদের যোগ্য শাস্তি দেবেন শুভঙ্কর সান্যাল ( Subhankar Sanyal )।
এত বছর পর শুভঙ্কর সান্যাল হিসাবে প্রত্যাবর্তন যেন উস্কে দিল সেকালের স্মৃতি। এ প্রসঙ্গে এদিন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক বলেন, “পরিচালকের ইচ্ছা ছিল ছবির শুভঙ্কর সান্যালকে আবার ফিরিয়ে নিয়র আসবে সে। এই চরিত্রটার উপর বেশ দুর্বলতা রয়েছে। আর গল্পটাও ভাল। তাই রাজি হলাম। এখানে আমি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান আইনজীবী। স্রোতের বিপরীত ধারায় নিজের জীবনকে চালিত করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সে। সত্যের প্রতীক হয়ে বারবার সেই অপদস্ত। তাই অবসর নিয়েছে, কিন্তু ছাড়েনি সততার পথে হাঁটা।”