Nawab Nandini: মনে ছিল খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন! পড়াশোনার চাপে এক অন্য পথে জীবন ঘুরে যায় রেজওয়ানের

জয়িতা চৌধুরি,কলকাতাঃ স্টার জলসায় ( Star Jalsha ) শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ’নবাব নন্দিনী’ ( Nawab Nandini )। আজ সন্ধ্যে ছটা থেকে শুরু হবে ধারাবাহিকের সম্প্রচারণ। সিরিয়ালপ্রেমীদের মধ্যে সিরিয়ালটি নিয়ে তাই উৎসাহের কোনও কমতি নেই। ছোট পর্দার রোম্যানটিক হিরো রেজওয়ান ( Rezwan Rabbani Sheikh ) ও ইন্দ্রানী পালের ( Indrani Paul ) রসায়ন পর্দায় দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তারা।
ধারাবাহিকের প্রোমোতে রেজওয়ানকে দেখা যাচ্ছে এক নতুন ভূমিকায়। এর আগে অভিনেতা কখনো খেলোয়ারের চরিত্রে অভিনয় করেননি। এই প্রথম ফুটবল খেলোয়ারের চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। রাগচটা খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অভিনয় করা কতোটা কঠিন? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রেজওয়ান জানান, ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতেন তিনি। ইচ্ছে ছিল ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট টিমের জন্য খেলবেন তিনি। তবে উচ্চমাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে পড়ার চাপে ধামাচাপা দিতে হয় সেই স্বপ্নকে।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানান, তাঁর মা চাইতেন তিনি অভিনেতা নয়, ডাক্তার হবেন। আর তাই মেডিক্যাল পরার চাপে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ক্রিকেট ছাড়তে বাধ্য হন অভিনেতা। তবে নিজের স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন মিডিয়া সায়েন্সে। তাই ফিল্ম মেকিং, ফোটোগ্রাফি ও সিনেমাটোগ্রাফি বিষয় জ্ঞান রয়েছে তাঁর। এছারাও ঘোরার গাড়ি চালানো, ড্রাইভিংয়ের শখ রয়েছে অভিনেতার। তবে নবাবী দেখানোর সুযোগ জীবনে এই প্রথম।
নতুন এই ধারাবাহিকের গল্প একটি পারিবারিক গল্প। সামাজিক প্রতিকূলতাগুলিকে সামনে রেখে এক সাধারণ মেয়ের স্বপ্নপূরণের গল্প এটি। নতুন ধারাবাহিকে নবাব বসুঠাকুরের চরিত্রে দেখা যাবে রেজওয়ানকে। ফুটবলার হিসেবে এটিই তাঁর প্রথম কাজ। নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে ইন্দ্রানী পালকে। এছারাও অনন্যা বিশ্বাসকেও দেখা যাবে একটি বিশেষ চরিত্রে। এসভিএফ এন্টারটেনমেন্টস প্রযোজিত ধারাবাহিকের গল্প যত এগোবে নন্দিনীর চরিত্রে বাঁধা বিপত্তি আসবে তত বেশি।
নবাব-নন্দিনী আসলে এক যুবক-যুবতীর গল্প। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র একজন নবাব এক ফুটবলার। আবেগপ্রবণ,সৎ ও গুনী নবাব নিজেকে এক দক্ষ ফুটবলার হিসেবে পরিচিত করতে চায়। ছেলে হিসেবে বেশ পরিবারকেন্দ্রিক তিনি। অন্যদিকে, নন্দিনী মাটির মানুষ। হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে উদাহরণ সৃষ্টিকারী কিছু করতে। কলেজে সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেছে। নন্দিনী নিজের মতো চলে এবং তাঁর আত্মসম্মানের সঙ্গে সে কখনও আপোস করে না।