“দু’মুঠো ভাতের লড়াই, জোটেনি খাবার, কাজ করেছেন হোটেলে”, জীবন নিয়ে অকপট পর্দার বামাক্ষ্যাপা

অনীশ দে, কলকাতা: মহাপীঠ তারাপীঠ শেষে অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) ভক্তদের বেজায় মন খারাপ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে সব্যসাচীর পরবর্তী কাজ সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না তাদের। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে এক নতুন ওয়েব সিরিজের সাথে যুক্ত হলেন তিনি। ধারাবাহিকে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে তাঁর (Sabyasachi Chowdhury) কাজ করতে যে সুবিধা হবে, তা বলাই বাহুল্য। এই নতুন ওয়েব সিরিজটির নাম ভাগাড় (Bhagar)। সম্প্রতি সামনে এসেছে এই সিরিজের ট্রেলার। সেই ট্রেলার দেখে বোঝা দায় এই সব্যসাচী এতদিন বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে অভিনয় করতেন। এই নতুন ওয়েব সিরিজে তাঁর পাশাপাশি দেখা যাবে অভিনেতার প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (Aindrila Sharma)। সিরিজটি ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাবেন দর্শকরা।
অবশ্য রাজদীপ ঘোষের নির্দেশনায় তৈরি এই সিরিজে একে ওপরের বিপরীতে অভিনয় করবেন না সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা। এই সিরিজটির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান ছিল দেখবার মত। নামের সাথে মিল রেখে এইদিন মঞ্চ সাজানো হয় ভাগাড়ের কায়দায়। এই অভিনব পন্থা দেখে বাহবা দিয়েছেন অনেকেই। সিরিজের অন্যতম অভিনেতারা উপস্থিত ছিলেন এইদিন সন্ধ্যায়। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন রজতাভ দত্ত, পূজা সরকার, সুমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। তবে এইদিন সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury) নিজের জীবনের এমন কিছু কথা জানালেন যা শুনে সবাই চমকে ওঠেন এবং একই সঙ্গে অনুপ্রাণিত হন। এই সিরিজে সব্যসাচীর চরিত্রটি খুবই জটিল। সিরিজে তাঁর চরিত্রের নাম পরেশ।
২০১৮ সালের ভাগাড় কাণ্ডের উপর আলোকপাত করেছে সিরিজটি। ভাগাড়ের মাংস খেয়ে যখন পরেশের মেয়ে মারা যায় তখন তাঁর জীবনে কালো মেঘের ঘনঘটা। স্ত্রী যেন তারপর থেকে পরেশকে সহ্য করতে পারে না একদম। প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ে ওঠে তাঁর। আর সেই কারণেই আত্মহত্যার কথা মাথায় আসে পরেশের।সমাজের জাতাকলে পড়ে শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সব্যসাচীর চরিত্র। আর এই চিত্রনাট্যই ভাবিয়েছে সকলকে।সবাই জানে অভিনেতাদের জীবন কখনওই সুখকর হয় না। নানা ওঠা পড়া নিয়ে তৈরি তাদের জীবন। সব্যসাচীও আলাদা নন।
তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় চরিত্রের মতনই ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর মাথায় কখনও এমন ভাবনা এসেছে কী না? প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী সাফ জানান, কোনও মানুষের জীবনই সোজা না। অনেক কষ্ট করে বাঁচতে হয় সকলকে। তাঁকেও হয়েছে। একসময় খেতে পায়নি সে, একবেলা দুমুঠো ভাতের ভরসায় কাটিয়েছেন দিন। কাজ করেছেন রেস্টুরেন্টে। কিন্তু কোনোদিন হার মানেননি। নিজের সেরাটা দিয়েছেন সব জায়গায়। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনেও ভালো থাকাটা খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। কয়েকদিন আগেই প্রথমবার পরিচালকের আসন সমলিয়েছেন তিনি। কলকাতার হ্যারি ছবির পরিচালক তিনিই। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন সোহম।