Hoichoi webseries:সে ‘সম্পূর্ণা’, বৈবাহিক ধর্ষণ রুখতে এবার আদালতের লড়াইয়ে সোহিনী সরকার

মেয়ে মানেই ‘সম্পূর্ণা’,রূপে গুণে লক্ষ্মী। সমাজ মেয়েদের জীবনকে দীর্ঘদিন ধরে বেঁধে রেখেছে এক অলিখিত ছন্দে- জন্ম তারপর বিয়ে, সন্তান প্রসব এবং মৃত্যু্। নারীজীবন কেন্দ্রিক একাধিক ছবি এর আগেও হয়েছে। তবে সমাজ বদলের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ধারণা উঠে এসছে। সিনেমার বদলে হয়ে গেছে ওয়েব সিরিজ। কিন্তু মেয়েদের জীবন বদলেছে কী? এই প্রশ্ন নিয়েই আসছে হই-চইয়ের নতুন সিরিজ।
‘হই চই’- এর নতুন সিরিজে অভিনয় করবে সোহিনী সরকার, প্রান্তিক ব্যানার্জি,রাজ নন্দীনী ও
অনুভব কাঞ্জিলাল। সম্পূর্ণ পারিবারিক ছবির আড়ালে লুকিয়ে আছে সমাজ বার্তা।রাজনন্দিনীকে এখানে দেখা যাবে বধূ বেশে। একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে হয় রাজনন্দিনীর। কিন্তু বিয়ের পর বদলে যায় রাজনন্দিনীর জীবন। কী ঘটে তার সঙ্গে?
‘ম্যারাইটাল রেপ’ বা বৈবাহিক ধর্ষণ এই গল্পের মূল বিষয়। সম্ভ্রান্ত পরিবারেই যে কীভাবে জড়িয়ে থাকে আদিম রিপু। আর সোহিনী সরকার এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন। মূল প্রতিবাদী চরিত্রে থাকছেন তিনি। ‘না’ বলতে শেখাবে এই ওয়েব সিরিজ। নারী মানেই ভোগ্যা নয় এই নিয়ে গল্প গড়ে উঠেছে। অনুমতি ছাড়া কোনো মেয়ের শরীর স্পর্শ করা যায় না। শারীরিক ভাবে নির্যাতন তো নয়ই। এর আগে আমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘পিঙ্ক’ সিনেমায় এমনই এক বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কয়েক বছরের ব্যবধানেও ছবিটা একই থেকে গেছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে এখনও মহিলাদের শারীরিক শুচিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় অথচ অনুমতি ছাড়া শারীরিক নির্যাতন রমরমিয়ে চলে ঘরে ঘরে। কেউ এই নিয়ে প্রতিবাদে মুখ খোলেননা। এমনকী নারকীয় অত্যাচার সহ্য করে তারা দিনের পর দিন সুখী গৃহিণীর মুখোশ পরে থেকেছেন। সময় এসেছে সমাজ বদলানোর। বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়েও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন। আর এই আইনী ব্যবস্থা অর্জনের জন্য সম্পূর্ণা পা দেয় আদালতে।
২৯ শে জুলাই ‘হই-চই’ মুক্তি পেতে চলেছে সায়ন্তন ঘোষালের পরিচালিত ‘সম্পূর্ণা’। ইতিমধ্যেই মহিলারা এই সিরিজকে সমর্থন জানাচ্ছেন। সমাজে এমন একটি বিষয় নিয়ে ছবি হওয়া প্রয়োজন কমেন্টে অনেকেই জানাচ্ছেন। সুতরাং সিরিজটি ওটিটিতে আসার পর যে মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই একটি বার্তা পাবেন তা বলাই যায়।