Bhanu Bandopadhyay: ডোরা কাটা জামা, গোল গোল চোখ! যমালয় থেকে কি জীবন্ত ফিরলেন ভানু বন্দোপাধ্যায়?

তবে কী ফিরে এলেন ভানু! চমকে গেলেন নাকি? ডোরা কাটা শার্ট, গোল গোল চোখ, মুখে সেই অবাক হওয়া দৃষ্টি! একেবারে হাসির রাজা ভানু বন্দোপাধ্যায়। তখন মহানায়ক একজনই,তিনি উত্তম কুমার। তবে বড়ো পর্দায় উত্তমের পাশে আরও একজনকে দেখে একদৃষ্টে চেয়ে থাকত আম-বাঙালি। যার একটা আমুদে কথায় হেসে কুটোপুটি যেত সিনে-প্রেমীরা। তিনি আর কেউ নন ‘একম’ এবং ‘অদ্বিতীয়ম’ ভানু বন্দোপাধ্যায়। জন্মশতবার্ষিকীর পূর্তিতেই পর্দায় ফিরছেন তিনি। আশি তে তিনি আসেননি ঠিকই, তবে একশো একে আমরা পর্দায় পাব তাকে। কী করে সম্ভব তাই তো?
নস্টালজিক বাঙালি আবার ফিরে পেতে চাইছেন সেইসব লেজেন্ড দের। যারা সাহিত্যে চলচ্চিত্রে অমর হয়ে আছেন। উত্তম কুমারের জীবনকাহিনি নিয়ে ছবির রীতি বহুদিনের। একাধিক বার উত্তম কুমারের বায়োপিক দেখেছেন বড়ো এবং ছোট পর্দায়। তবে সম্প্রতি আরও এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকীতে এসেছিল অপরাজিত। আর এবার পর্দায় ফিরিয়ে আনতে চলেছে ভানু গোয়েন্দাকে। আজ ২৬ অগস্ট ভানু বন্দোপাধ্যায়ের ১০১ তম জন্মদিনে প্রকাশ্যে এল সেই তাক লাগানো খবর। বিশিষ্ট অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ‘ভানু বন্দোপাধ্যায়’এর লুকে একেবারে চমকে দিলেন সকলকে। আর চলচ্চিত্র ভাবনা রূপায়নে পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। চলচ্চিত্রের নামটিও রেখেছেন অসাধারণ টুইস্ট “যমালয়ে জীবন্ত ভানু”!
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হল একঝলক দেখলে মনে হবে ভানু বন্দোপাধ্যায় স্বয়ং। একেবারে হুবহু এক। এই অসাধ্য সাধন করতে পারেন একমাত্র একজন ম্যাজিশিয়ান, তিনি সোমনাথ কুন্ডু। যার তুলির ছোঁয়ায় আর বুদ্ধির জোরে মুহূর্তেই এক মানুষ অন্য মানুষে পরিণত হতে পারে। যেভাবে এর আগেও ‘অচেনা উত্তম’ ছবিতে শ্বাশ্বত হয়ে উঠেছিলেন উত্তম কুমার। গুমনামী ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় হয়ে উঠেছিলেন ‘নেতাজী’। তেমন ভাবেই আবার শ্বাশ্বত হয়ে উঠলেন ভানুর প্রতিচ্ছবি। পরিচালক এব্যাপারে বলেন, “পরিচালক বললেন, ‘‘আগে স্বস্তিক সংকেত ছবিতে অপুদার সঙ্গে কাজ করেছি।তখন থেকেই মনে হয়েছিল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেহারার সঙ্গে কিছুটা মিল আছে অপুদার। সোমনাথদাও দারুণ ফুটিয়ে তুলেছেন পুরো বিষয়টা।’’ চিত্রনাট্য লেখার কাজ এখনও চলছে, এর মাঝেই এল ফার্স্ট লুক। অভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের ১০১ তম জন্মদিনে ছোট উপহার পরিচালকের তরফে, এমনটাই জানান তিনি।