Sreelekha Mitra:“বারুদ বারুদ আস্তে আস্তে পুঞ্জীভূত হয়েছে!” সাদা-কালো ফ্রেমে টলিউড নিয়ে এ কী বললেন শ্রীলেখা?

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর স্বজনপোষণের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল বলিউড। বাদ যায়নি টলিউডও, তাবড় তাবড় তারকারা স্বজনপোষণের তীর থেকে বাদ পরেনি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছিলেন, ‘‘স্বজনপোষণ আছে এখানেও। সম্পর্কে থাকলে কাজ পেতে সুবিধে হয়।’’ তাঁর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই টলিউডের অনেকেই নাকি অভিনেত্রীকে নিয়ে কাজ করতে চাননি। টলিউড সিস্টেমের বিরুদ্ধে গলা তোলার জন্য অভিনেত্রী শ্রীলেখাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল। গত কিছুদিন আগেই মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে ডাক পেয়েছেন তিনি। তারপরই যেন দুঃখ দিনের স্মৃতি ভেসে উঠেছে শ্রীলেখার ( Sreelekha Mitra ) চোখের সামনে।
শ্রীলেখার ক্যেরিয়ার নষ্ট করেছিল টলিউডের ‘দাদা-দিদিরা’। সেই অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা নয় তার প্রমাণ দিয়েছেন অন্যান্য অভিনেতারাও। অভিনেত্রী জানিয়েছেন সেদিনকার বিস্ফোরণ একদিনের ফসল নয়।তিনি জানিয়েছেন,”শ্রীলেখা মিত্র যে বিস্ফোরণ ঘটায়, তার বারুদ আস্তে- আস্তে পূঞ্জীভূত হয়েছে। বার্স্ট করলাম তো সেদিন।” সুকান্তের মৃত্যুর পর সেই বহুদিনের জমানো রাগ বেরিয়ে এসেছিল।
পরেও শ্রীলেখা জানান টলিউডে কাজ পেতে গেলে সৎ ভাবে পাওয়া যায় না।বলেন,”শ্রীলেখা মিত্র তো এত দিন সৎ পথে থেকেছে। অসৎ পথে থাকলে সম্মান পাওয়া যায়। সরকারি পুরস্কারে পুরস্কৃত হওয়া যায়। এমনি এমনি তিন মাস হাতে কাজ নেই? তবু আমি কখনও নিজের পথ থেকে বিচ্যুত হব না।” সেই পথেই হাঁটছেন অভিনেত্রী।তাই নাকি টলিউড ছেড়ে বলিউডে পা বাড়াবেন অভিনেত্রী। শ্রীলেখার মন্তব্য ছিল, ‘আমি কারও বাগানবাড়িতে গিয়ে সময় কাটাতে পারব না। ভাল কাজ করব বলে, ছবি তৈরি করব বলে টাকা দরকার। কিন্তু তার জন্য কারও পায়ের তলায় বসে থাকতে পারব না।’
শ্রীলেখা নিজের সাদা-কালোয় মোড়া নস্টালজিক ছবি দিয়ে লেখেন, “এটা আমি ছিলাম.. এটাই আমি… যে আমি কাজ পেতাম না… এবার আমার বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে পেলেন কি?” সত্যিই মনোমুগ্ধকর সেসব ছবি। যোগ্যতা থাকলেও কদর পেলেন না এই অভিমান নিয়েই মুখ খুললেন সংবাদ মাধ্যমে। এখন বারবার শ্রীলেখা বিতর্কের শীর্ষে উঠে আসেন, চেহারা নিয়েই শুনতে হয় কটূক্তি। তবে সেসময় তাঁর চেহারা ছিল স্নিগ্ধ, সুন্দর, লাস্যময়ী। তবুও কাদের কারণে বঞ্চনার শিকার হলেন অভিনেত্রী? সেই প্রশ্ন অমীমাংসিত থেকে গেল।এমনটাই আক্ষেপ অভিনেত্রী শ্রীলেখার।