Khorkuto: গুনগুনের মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ চড়েছে নেটপাড়ায়, অনুরাগীদের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন তৃণা

এক সময় টিআরপি তালিকায় ( TRP List ) বেশ প্রভাব জমিয়েছিল এই ধারাবাহিক। কিন্তু সময়ের হাত ধরেই খানিকটা কমেছে জনপ্রিয়তা। তবে মুছে যায়নি সে। আশঙ্কা ছিল হয় তো এবার কোপ পড়তে পারে গুনগুনের ( Gungun ) ঘাড়ে। আর তাই যেন বাস্তব হয়ে উঠল আজ। চলতি সপ্তাহেই সমাপ্ত হয়ে যেতে চলেছে ‘খড়কুটো’ ( Khorkuto )। বুধবার সম্প্রচারিত হবে গুনগুনের মৃত্যুর পর্ব। ইতি টানা হচ্ছে মুখোপাধ্যায় পরিবারের আখ্যানে।
এক সময় ‘বাংলার সেরা’ তকমা পেয়েছিল এই ধারাবাহিক ( Bengali Serial )। কিন্তু আজ সময়ের সঙ্গে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল সব তকমা। সুন্দর মুহূর্তগুলোকে এখানেই থমকে দিয়ে থেমে গেল দু’বছরের পথচলা ( Star Jalsha )। টেলিভিশনের পর্দায় আর দেখা যাবে না গুনগুনকে। এই নিয়ে মন খারাপ তৃণা সাহার। যে গুনগুন তাঁর অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছিল, এবার তাকে ছেড়ে আসবার পালা।
অভিনেত্রী বললেন, “আমরা একেবারে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছিলাম। অনস্ক্রিন যেমনটা দেখানো হত, ঠিক তেমনই ছিল আমাদের সম্পর্ক। জানতাম একদিন খড়কুটো শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু দিনটা যে ধীরে ধীরে এগিয়ে এসেছে তা টের পাইনি। সেট জুড়ে বিষন্নতার ছায়া। সবাই খুব কাঁদছে প্রয়োজন পড়ছে না গ্লিসারিনের। প্রতিটা দৃশ্যই এখন যেন চোখে জল এনে দিচ্ছে।”
তৃণার জীবনের তৃতীয় ধারাবাহিক এটি। এর আগে আরও দুই ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করলেও গুনগুন তাঁকে দিয়েছে মাত্রা ছাড়া জনপ্রিয়তা। ঘুরিয়ে দিয়েছে কেরিয়ারের অভিমুখ। মানুষের কাছে তাঁকে তুলে ধরেছে এক নতুন রূপে। তাঁর কথায়, “এই বছরে অনেক জায়গায় কাজ করেছি। অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু গুনগুন হয়ে মানুষের কাছে যে ভালবাসা পেয়েছি তা হয় তো ভুলে যাওয়ার মতো নয়। এই ধারাবাহিক আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।”
গুনগুনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে ধারাবাহিকে সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। যার জেরে ভীষণ চটেছে ‘খড়কুটো’ অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। কেন ‘হ্যাপি এন্ডিং’ পেল না ‘খড়কুটো’ এই নিয়ে ফ্যান পেজগুলিতে তৈরি হয়েছে প্রশ্নের পাহাড়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য মুখ খুলেছেন তৃণা সাহা। তাঁর দাবি, “গুনগুনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মধ্যে চলা রাগকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা এই ধারাবাহিককে কতটা ভালবাসেন। গুনগুনের মৃত্যু কতটা জরুরী ছিল তা হয় তো বলতে না পারলেও এটা বলা যায়, ব্রেন টিউমারের মতো রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা কঠিন। এখানে তেমন দেখালে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারত।”