দিল্লি-জয়পুর ২০০ কিমি ই-সড়ক, কেমন হবে সেই রাস্তা? কীভাবেই বা চলবে গাড়ি? জানেন কি?

ভুলে যান পেট্রোল-ডিজেলের দিন। সম্পূর্ণটাই এখন বৈদ্যুতিক। সময়ের সাথে সাথে যথেচ্ছ ব্যবহার বাড়ছে বৈদ্যুতিক সামগ্রীর। এবার সেই পরিকল্পনাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল কেন্দ্র সরকার। ২০০ কিলোমিটার দিল্লি-জয়পুর রাস্তা জুড়ে বিদ্যুৎ-এর সাহায্যেই ছুটবে গাড়ি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এই ধরণের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন এর দুটি লক্ষ্য- প্রথম, এই পদ্ধতি পণ্য পরিবহণের খরচ কমবে। দ্বিতীয়, এই পদ্ধতিতে পরিবেশে হ্রাস পাবে দূষণমাত্রা।

delhi,jaipur,200KM,electric road,Highway দিল্লি,জয়পুর,২০০ কিলোমিটার,বৈদ্যুতিক সড়ক,হাইওয়ে

কী এই বৈদ্যুতিক জাতিয় সড়ক (Electric Highway)?

একদম সহজলোভ্য ভাষায় বলতে গেলে, রাস্তার ওপর চলবে বৈদ্যুতিন যানবাহন। এখনকার সময়ের বৈদ্যুতিন ট্রেনের ওপরে লাগানো প্যান্টোগ্রাফ দেখেছেন নিশ্চয়ই। সেই প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমেই একটি ট্রেন বৈদ্যুতিক শক্তি ও চলার জন্য গতি পায়। ঠিক তেমনি কিছুটা পরিকল্পনা ব্যবহার করা হয় বৈদ্যুতিক সড়কে। বাহনে থাকবে প্যান্টোগ্রাফের মতো ব্যবস্থা। যার সাহায্যে ওই তার থেকে চলার শক্তি সংগ্রহ করবে বাহনগুলি। পাশাপাশি সড়কের কিছু দূর অন্তরই থাকবে চার্জ স্টেশন। সেখানেও গাড়ি চার্জ দিতে পারবেন চালকরা।

মূলত জাতিয় সড়কের একটি দিকের লেনেই থাকবে এইরকম ব্যবস্থা। ওই লেন দিয়ে মূলত বৈদ্যুতিক গাড়ি চলবে। বিশেষ বাস এবং ট্রাকই চলবে। পণ্য পরিবহণে খরচের কথা মাথায় রেখেই এই সিধান্ত নিয়েছেন গডকড়ী। তাঁর দাবি, এর ফলে ৭০% খরচ কমবে। ইতিমধ্যে সুইডিশ সংস্থার সাথে শুরু হয়ে গিয়েছে কথা বার্তা।

delhi,jaipur,200KM,electric road,Highway দিল্লি,জয়পুর,২০০ কিলোমিটার,বৈদ্যুতিক সড়ক,হাইওয়ে

কীভাবেই বা কাজ করবে এই বৈদ্যুতিক জাতিয় সড়ক?  

গোটা বিশ্বে মূলত তিন ধরণের প্রযুক্তিতে এই সড়ক। যার মধ্যে ভারত সুইডেনের তৈরি পদ্ধতি ধরেই এগোতে চায়। সুইডেনে প্যান্টোগ্রাফ মডেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কনডাকশন মডেলও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে রাস্তার নীচে বৈদ্যুতিক তার থাকে। গাড়ির নীচে লাগানো প্যান্টোগ্রাফের সঙ্গে ওই তারের সংযোগে শক্তি উৎপন্ন হয়। তৃতীয় পদ্ধতিটি হল, ইনডাকশন মডেল। এই প্রযুক্তি তারবিহীন। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিদ্যুতের সাহায্য চলে বিদ্যুতের সরবরাহ। এছাড়াও সুইডেন এবং জার্মানিতে মূলত হাইব্রিড গাড়ি চলে। যেগুলি বিদ্যুতের পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলেও চলতে সক্ষম।

২০১৮ সালে বিশ্বে প্রথম সুইডেনই বৈদ্যুতিক রাস্তার ব্যবহার চালু করে। সুইডেন ছাড়াও জার্মানিতেও রয়েছে এই ব্যবস্থা। এবার একই পথে এগোনোর উদ্যোগ নিল ভারত।              

 




Back to top button