ঘরে-বাইরে তালিবানের মদতদাতা সেই পাকিস্তানই? আফগান প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে তীব্র চাঞ্চল্য
আফগানিস্তানে তালিবান উত্থানের পিছনে যে চিন-পাকিস্তানের বড় হাত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছিলেন অন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এবার তা সেই দাবিকে সমর্থন করেই তালিবান নেপথ্যে পাক ইন্ধন নিয়ে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আফদানিস্তানের স্বঘোষিত কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই গোটা আফগানিস্তানের দখল নিয়ে নিয়েছে তালিবানিরা। আর তখনই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি।
তাপরেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে তালিবানদের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন আশরাফ গনি আমলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহ। এমনকী বর্তমানে আফগানিস্তানের পঞ্জশির প্রদেশে তালিবদের রুখে দিয়েছে বাহিনী।বর্তমানে আফগানিস্তানের শান্তি ফেরাতে তার দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এদিকে গত বুধবার পঞ্জশিরে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের পতাকাও উড়িয়েছে সালেহ বাহিনী।
ওই এলাকা থেকেই বর্তমানে একটি বিশেষ ইন্টারভিউ দেন তিনি। আর তাতেই পাকিস্তানের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। সালেহর দাবি আমেরিকার টাকায় তালিবানদের পরিষেবা জোগাচ্ছে পাকিস্তান। এমনকী আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে তাদের দেশকে সন্ত্রাসবাদীদের অন্যতম প্রধান আতুরঘর তৈরি করতে চাইছে ইমরান সরকার। পাকিস্তানের শুধু নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা দেশের সরকার থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষও তালিবানদের কোনও না কোনও ভাবে মদত করে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
পাক সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে সালেহ বলেন, “তালিবানদের বরাবরেই মদত করে এসেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানেও দেশে ওদের অবাধ যাতায়েত ছিল। পাকিস্তানে আমেরিকার লগ্নিকে ভুল পথে চালিত করেছে ইমরান সরকার। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে আজ সকলকে”। সালেহ-র আরও দাবি “শান্তিচুক্তি ও পাকিস্তানের উন্নয়ন খাতে আমেরিকা যে টাকা পাঠিয়েছে সেই অর্থ ঘুরিয়ে তালিবানি মদতে খরচ হয়েছে।”