Bitcoin: লাফিয়ে বাড়ছে ক্রিপটো কারেন্সির দর, বছর শেষে বিটকয়েন ছোঁবে ৭০ লক্ষ!
করোনা আবহে কমবেশি ধাক্কা খেয়েছে সকল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রই। যদিও এরই মধ্যে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র। পাল্লা দিয়ে শেয়ারের(share market) সূচক উঠছে আকাশছোঁয়া। ডিজিটাল ক্ষেত্রে (Digital Money) বিনিয়োগের দিকে এগোচ্ছেন আধুনিকের বিনিয়োগকারীরা। এই নতুন সেক্টরে নবতম সংযোজন বিটকয়েন (Bitcoin)। চড়চড়িয়ে বাড়ছে ক্রিপটোকারেন্সির (cryptocurrency) বাজার। খুব দ্রুত চর্চার কেন্দ্রেও উঠে এসেছে এই ‘কয়েন’, কিন্তু কেন?
বর্তমানে ক্রিপটোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে মুহূর্তে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। এই ক্রিপটোকারেন্সির সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরণ হল বিটকয়েন। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরের শেষেই হয়তো বিটকয়েনের মূল্য পৌঁছাতে পারে ১ লাখ মার্কিন ডলারে, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭২ লক্ষ টাকার সমান! ফলত পুরোনো ভাবনাকে নস্যাৎ করে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপটোকারেন্সিকে বেছে নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদদের মতে, গোটা পৃথিবীতে ক্রিপটোকারেন্সির বাজার মূল্য ২ লাখ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। আগামীতে যে আরও বাড়বে বিটকয়েনের দর, সে বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।
বিগত কয়েকমাসে প্রায় প্রত্যহ বেড়েছে বিটকয়েনের মূল্য। ক্রিপটোর ক্ষেত্রে বিটকয়েনের পাশাপাশি কারডানো, এক্সআরপি বা ডগিকয়েন বাড়ছে তড়তড়িয়ে। সূত্রের খবর, গতকালের তুলনায় ক্রিপটোকারেন্সির বাজারদর বেড়েছে প্রায় ০.০৪%। রেকর্ড বলছে, অগস্টে যে বিটকয়েনের সামগ্রিক দর ছিল ৪৪,৫০০ মার্কিন ডলার, তা বেড়ে আজ হয়েছে ৫০,২০৭ মার্কিন ডলার।
দর বাড়ার অর্থই এই যে বিশ্বের নাগরিকরা গ্রহণ করেছে ক্রিপটো কারেন্সিকে, অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের মত এমনই। মে মাসের পর এই প্রথম ক্রিপটোকারেন্সির বাজার দর ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার। বিশ্বব্যাঙ্কের খতিয়ান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে বিটকয়েনের দর ছিল ২৭,০০০ মার্কিন ডলার। হিসাব বলছে, বছরের শুরু থেকে আজকের তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৮১% বেড়েছে বিটকয়েনের দাম!
বিশ্বেই উন্নত দেশগুলির ন্যায় উন্নয়নশীল দেশেও ঢুকছে ক্রিপটোর জোয়ার। ভারতীয় ক্রিপটোর বিনিয়োগে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বাধ্য হয়েছে বিটকয়েনে নজর দিতে। অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই হয়তো সামনে আসবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল কারেন্সি। ভারতীয় ক্রিপটোকারেন্সির নাম হতে পারে ‘সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি’। যদিও এই কারেন্সির বৈশিষ্ট্য যে পুরোপুরি ক্রিপটোর মতো হবে না, সে বিষয়ে আগাম আভাস মিলেছে। যদিও অর্থনীতিবিদদের মতে, লেনদেনের মাধ্যম বা ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের আধার হয়ে উঠতে পারে এই ডিজিটাল কারেন্সি।
ভারতে এখনও সেভাবে বৈধতা না পেলেও ছোট আকারে শুরু হয়েছে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য ডিজিটাল ক্ষেত্রের মতো খুব সাধারণ প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয় না ক্রিপটোয়। এক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য দরকার কারেন্সি এক্সচেঞ্জ। মূলত ব্লকচেনের মাধ্যমে চালিত হয় ক্রিপটোকারেন্সি। ক্রিপটো দেওয়া-নেওয়া করলেই ব্লকচেনে রেকর্ড থেকে যায়। ফলত সহজে ট্র্যাক করা সম্ভব এই কারেন্সি, জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।