Loneliest man in the World: ম্যাকাও পাখির ‘রামধনু’ পালকে আবৃত শরীর, বেদনা ভুলে না ফেরার দেশে অ্যামাজনের ‘নিঃসঙ্গ রাজা’

বিশ্বের প্রথম নিঃসঙ্গ মানুষের মৃতদেহের খোঁজ মিলেছে ব্রাজিলে (Brazil)। সম্প্রতি, এই ঘটনার সাক্ষী ব্রাজিলের সরকারি নৃতাত্ত্বিক সংস্থা ফুনাইয়ের একদল গবেষক। ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গলের (Amazon Rainforest) বৃষ্টিঅরণ্য, যার সঠিক কূলকিনারা আজও করতে পারেনি কেউই। আদৌ এই জঙ্গলের গভীরে কী আছে তার হদিস পাওয়া মুশকিল। সেখানেই গত ২৩ শে অগস্ট সন্ধান মিলেছে ছিমছাম পর্ণকুটিরে দোলনা খাটের ওপর শুয়ে থাকা মাক্যাওয়ের রঙিন পালক দ্বারা আবৃত এই দোসরহীন মানুষটির নিথর দেহ।

গবেষকদের অনুমান, কোনও এক সময় বলিভিয়ার সীমান্তের কাছে তানারু নামক এক আদিবাসী গোষ্ঠী বসবাস করত। সত্তর-আশির দশকে পশুপাখি ও জমিহাঙ্গরদের আক্রমণের শিকার হয়ে এই আদিবাসী গোষ্ঠীর অধিকাংশই মারা যায়। গবেষণা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সালে এই গোষ্ঠীর আনুমানিক ৭ জন মানুষ বেঁচে ছিলেন। পরে আধুনিক সভ্যতার ধ্বংসলীলার অন্তিমে কোনও ক্রমে পালিয়ে বেঁচেছিলেন এই একজনই।

amazon1

১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে ফুনাই হদিস দেয় ‘দ্যা ম্যান অফ দ্যা হোল’ এর; যা গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্যে পরিণত হয়েছিল। সম্ভবত, একাকী বেঁচে থাকার কারণেই শুরু হয় গর্ত খোঁড়া এবং পশুশিকার করে জীবনযাপন। দোলনা খাটে অর্ধনগ্ন দেশের সামনে মিলেছে একাধিক গর্তের হদিস। এর আগেও এই নিসসঙ্গের রাজাকে একা একা জঙ্গলে ঘুরে বেরাতে দেখা গেছে বলে দাবী অনেকেরই।

ফুনাইয়ের এই তথ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে গবেষক মহলে। এই অর্ধনগ্ন মানুষের জীবনকাহিনী নিয়ে মনগড়া কিছু বইও লেখা হয়ে গেছে। তবে সবটাই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে। আসলে কে এই নিঃসঙ্গ মানুষ? কীভাবে তিনি জীবনযাপন করতেন? কোন জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তিনি – এর সব কিছুই আমাদের কাছে অজানা।




Back to top button