মৃত নারীদেহের সঙ্গেই অবাধ যৌনাচার, এ কোন নারকীয় খেলায় মেতেছে তালিবানেরা
ফের সামনে চলে এল তালিবানদের পৈশাচিক চেহারা। দ্বিতীয়বার কাবুল দখল করার পর তালিবানের দাবি ছিল তারা নাকি পাল্টে গেছে, তারা নাকি তালিবান ২.০। তাদের এও দাবি ছিল তারা মহিলাদের সম্মান করে, তবে এই মুখোশ এবার খুব তাড়াতাড়িই খসে পড়ল। সম্প্রতি ভারতে পালিয়ে আসা এক আফগান মহিলা পুলিশের বক্তব্যে এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে।
মুশকান নামে সেই আফগান মহিলা পুলিশ কর্মী জানান, তালিবানরা বাড়ি বাড়ি এসে তাদের মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে হয় ধর্ষণ করে কিংবা খুন করছে। তার মতে, যদি কোন মহিলা তালিবানি প্রস্তাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তবে তাকে প্রথমে খুন করা হয় এবং তার পরে সেই মৃত শরীরকে ধর্ষণ করে। এমন কি যেসব মহিলা সরকারি দফতরে কর্মরত ছিলেন এবং যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে।
“ক্রমাগত তালিবানি হুমকির সাথে আর পেরে উঠছিলাম না। দেশে থাকাও সম্ভব হচ্ছিল না। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই দেশ ছাড়তে বাধ্য হলাম”, এই ভাবেই কার্যত নিজের আতঙ্কের কথা জানান মুশকান। তার পরিবার এখনো আফগানিস্থানে আছে। এদিকে নিজের পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে তিনি বাড়িতে বলেছেন তার সমস্ত ডিগ্রি এবং প্রমাণপত্র নষ্ট করে দিতে, যাতে তালিবানেরা তার অস্তিত্ব জানতে না পারে।
এদিকে তালিবানেরা ইতিমধ্যেই নতুন ফতোয়া জারি করে ফের মেয়েদের গৃহবন্দী করতে শুরু করেছে। এমনকী অফিস যেতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের সাফ বক্তব্য, পুরুষ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্য ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবে না তালিবানেরা। তবে মঙ্গলবার এক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের প্রশ্নের উত্তরে তালিবান মুখপাত্র বলেন “আমরা চাই মেয়েরা তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরুক। কিন্তু এখন আমাদের সিকিউরিটি ফোর্স মহিলাদের সুরক্ষা দিতে তৈরী নয়। তাই আপাতত আমরা চাই মহিলারা বাড়িতে থেকেই নিজেদের কাজ চালিয়ে যাক। খুব তাড়াতাড়ি আমরা তাদের সসম্মানে কর্মক্ষেত্রে ফেরত নিয়ে আসব।”
তালিবানি নৃশংসতা যে মহিলাদের উপরই সীমিত তেমনটা নয়, পুরুষদের সাথেও তাদের সেই পৈশাচিক ব্যবহারের অনেক তথ্যই উঠে আসছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করা হচ্ছে সেই পুরুষ কর্মীদের, যারা আফগান সরকারের সমর্থক ছিলেন কিংবা সরকারি দফতরের কর্মী ছিলেন। খুঁজে পাওয়া গেলে কপালে থাকছে একইরকম নৃশংসতা। এমনকি পুরুষ কর্মীদের না পাওয়া গেলে, তাদের বাড়ির কোন মহিলাদের অপহরণ করে আনা হচ্ছে।