Beatrice Thompson: ৫ লক্ষ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত যৌনকর্মী! বাদ যাননি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি

অনীশ দে, কলকাতা: দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে যৌন পেশায় লিপ্ত তিনি। পাঁচ লক্ষের বেশি গ্রাহক পরিষেবা নিয়েছে তাঁর কাছ থেকে। আমেরিকার নেভাডার বাসিন্দা বিয়ারট্রিয় থমসন (Beatrice Thompson)। তবে যৌন পেশার জগতে তিনি পরিচিত বিয়ারট্রিয় থ্রি ডলার থমসন নামে (Beatrice Thompson)। খুব অল্প বয়সেই এই পেশায় যোগদান করেন বিয়ারট্রিয় থমসন (Beatrice Thompson)। এখনও পর্যন্ত পরিষেবা দিয়েছেন প্রায় পাঁচ লক্ষ গ্রাহককে। আর এই শুনেই অবাক নেটিজেনরা। কোনও অ্যাডাল্ট ফিল্ম স্টার আজ পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ জনের সঙ্গে সঙ্গম করেছেন এমনটা জানা যায় না।
শুরুতে মাত্র তিন ডলারের বিনিময়ে পরিষেবা দিতেন বিয়ারট্রিয় থমসন (Beatrice Thompson)। তখন গ্রাহক সংখ্যা জুটত মাত্র চার থেকে পাঁচজন। তখনই বিয়ারট্রিয় ঠিক করেন এই সংখ্যা একদিন পাঁচ লক্ষে পৌঁছে দেবেন তিনি। শেষমেশ তাতে সফল হন বিয়ারট্রিয় (Beatrice Thompson)। এক সাক্ষাৎকারে বিয়ারট্রিয় থমসন (Beatrice Thompson) জানিয়েছিলেন, যতদিন তিনি এই পেশায় যতদিন থাকবেন ততদিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে যাবেন তিনি। প্রায় ৫৪ বছর ধরে লক্ষাধিক মানুষকে সুখ প্রদান করেছেন এই বর্ষীয়ান যৌন কর্মী।
এক সাক্ষাৎকার চলাকালীন তিনি (Beatrice Thompson) জানান, “যখন খুব অল্প বয়স ছিল, দিনে ৫০-১০০ জন গ্রাহককে পরিষেবা দিতাম। স্থির করেছিলাম যে, অবসরের আগে এই সংখ্যাটা পাঁচ লাখে নিয়ে যাব। একটু কম পরিচিত ছিলাম এই পেশায়, ফলে এই লক্ষ্যপূরণে আরও বেশ কয়েক বছর অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।” ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৩ এর মধ্যে প্রায় সতেরো বার সেরা যৌনকর্মীর তকমা পান তিনি। নেভাডা যৌনকর্মী সংগঠন দ্বারা ২০১১ সালে বিয়ারট্রিয় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ভূষিত হন। বিয়ারট্রিয় (Beatrice Thompson) দাবি করেন তিনি প্রায় পাঁচ লক্ষ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়েছেন।
এর সপক্ষে যুক্তি রয়েছে বিয়ারট্রিয়র কাছে। সমস্ত গ্রাহকদের বয়স এবং তাদের থেকে প্রাপ্ত টাকার হিসেব রয়েছে তাঁর কাছে। এই তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার চারজন রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত। এমনকি বিয়ারট্রিয়ের পরিষেবা পাওয়ার জন্যে সুদূর জার্মান থেকে ৮,৭০০ কিমি পেরিয়ে আসেন এক অনুগামী। বলাই বাহুল্য, বিয়ারট্রিয় বিশ্বব্যাপী চেনা নাম। নিজের খ্যাতি তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশ দেশান্তরে। নিজের কৃতিত্ব নথিভুক্ত করার জন্যে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যোগাযোগ করেন বিয়ারট্রিয়।