যৌনকর্মীদের ধরে ধরে দেওয়া হবে মৃত্যুদণ্ড ! নতুন ফতোয়া জারি তালিবানদের
এইবার তালিবানদের লক্ষ্যে আফগানিস্তানের যৌনকর্মীরা। সূত্রানুসারে, তৈরী হচ্ছে তালিকা। যৌনব্যবসার সাথে কোনো ভাবে জড়িত থাকার প্রমান পেলেই মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন যৌনদাসত্বর মতো সাজা নির্ধারিত করা হবে। সারা আফগানিস্তান জুড়ে এখন খোঁজ চলছে যৌনকর্মীদের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পর্ন সাইটগুলিতেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
কোনো আফগান মহিলার ভিডিও পেলেই, নথিভুক্ত করা হচ্ছে তার নাম সেই তালিকায়। বিদেশীদের সাথে যারা যৌনকার্যে লিপ্ত, তাদের জন্যে মৃত্যুদণ্ড অনিবার্য। তবে বাকিদের পরিস্থিতি বিচার করার পর, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, বা আজীবন যৌনদাসত্বর শাস্তি দেওয়া হবে বলে তথ্যসূত্রে খবর।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ শাসনে থাকাকালীন আফগানিস্তানের মেয়েদের অবস্থা ছিল করুন। বর্বরতা এবং মধ্যযুগীয় সামাজিক অবস্থায় দীর্ঘ পাঁচ বছর কাটাতে হয়ে তাদের। দুইদশক পর আবার ক্ষমতার শীর্ষে ফিরে এসে সেই অবস্থার পূর্ণনাবৃত্তি ঘটাচ্ছে এই উগ্রপন্থী দল। যদিও তালিবান মুখপাত্রের অনুযায়ী শরীয়াত মেনে মহিলাদের স্বাধীনতার কথা ভেবে থাকলেও, সেই প্রতিশ্রুতির কার্যকারিতা কোনো ভাবেই সম্ভব হবে বলে মঞ্চে অনেকে। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে থাকার পরও তালিবান তথা অন্যান্য উগ্রপন্থী দলগুলির কাছে, নারী এখনো ভোগবিলাসের সামান্য মাধ্যম শুধু।
প্রথমদফার আফগানিস্তান দখলের পরেও তালিবান হত্যা করেছিল যৌনকর্মীদের। আর সেই আইন এর প্রত্যাবর্তন হয়েছে আবার দীর্ঘ দুইদশক পরে। নারী নির্যাতনের গ্রাফ ক্রমশ উর্দ্ধগামী। শারিয়া আইনেকে ঢাল বানিয়ে বারংবার নারীদের উপর দমন করে আসছে তালিবান। তথ্যসূত্র খবর, কয়েকদিন আগেই ছোটো পোশাক পরে , শরীয়াত না মেনে , ‘হারাম’ করার দরুন, এক যুবতীকে গুলি করে মারে তালিবানেরা। এই অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েছেন সেই দেশের তথা বিশ্বজুড়ে নানা মানবাধিকার ও নারীঅধিকার সংগঠনগুলি। কঠিন প্রতিরোধে তারা জানিয়েছে বুরখা পড়া মানলেও, মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার স্বাধীনতা তারা কেড়ে নিতে দেবে না তালিবানদের।